অনুশ্রুতির ১ম খন্ডে “ইষ্টভৃতি স্বস্ত্যয়নী” শিরোনামে পৃষ্ঠা ৩১৭ – ৩৩৪ পর্যন্ত মোট ৭৪টি বাণী রয়েছে।
এর মধ্যে ১-১০ নং বাণী নিচে দেয়া হলো।
ইষ্টপোষণ যা'র অবশ
লোহার বাঁধায় সিদ্ধি বিবশ। ১।
ইষ্টভরণ পিতৃপোষণ
পরিস্থিতির উন্নয়ন,
এ না ক'রে যা'ই করিস্ না
অধঃপাতেই তোর চলন। ২।
আত্মরক্ষা-উপকরণে
ইষ্টভরণ করতে হয়,
কর্মশক্তির যা'য় সমাহার
তা'রেই তো কয় পুরুষকার,
পুরুষকারে দৈব যোজন
তা'রেই ইষ্টভৃতি কয়। ৩।
ক্ষিপ্তকুটিল বিষদংশনে
দৈন্য-জীর্ণ জীবন-কৃতি,
পূর্ব্বপুরুষ তবুও ছাড়েনি
দেছে প্রাণ তবু ইষ্টভৃতি;
ক্ষীণ করে ধরি' দীপ্ত কৃপাণ
যজন-যাজন-ইষ্টপ্রাণ,
কম্পিত দেহ বিহ্বল যদিও
থামেনি জাগাতে জাতির মান;
ওই ওঠে দ্যাখ্ আর্যতপন
কৃষ্টি-পূজারী অমিত ভাতি,
তপোবহ্ণি-হোমে জাগ দুর্দ্দম
শক্তি-পাবক আর্য্যজাতি। ৪।
হ'স্ না যোগী, হ'স না ধ্যানী, গোঁসাই-গোবিন্দ যা'ই না হ'স্ যজন-যাজন-ইষ্টভৃতি না করলে তুই কিছুই ন'স্। ৫।
দীক্ষা নিলে জানিস্ মনে
ইষ্টভৃতি করতেই হয়,
ইষ্টভৃতি-বিহীন দীক্ষা
কভু কি রে চেতন রয় ? ৬।
দিন-গুজরানী আয় থেকে কর্
ইষ্টভৃতি আহরণ,
জলগ্রহণের পূর্ব্বেই তা’
করিস্ ইষ্টে নিবেদন;
নিত্য এমনি নিয়মিত
যেমন পারিস্ করেই যা,
মাসটি যবে শেষ হবে তুই
ইষ্টস্থানে পাঠাস্ তা';
ইষ্টস্থানে পাঠিয়ে দিয়ে
আরো দুটি ভুজ্যি রাখিস,
গুরুভাই বা গুরুজনের
দু'জনাকে সেইটি দিস;
পাড়া-পড়শীর সেবার কাজে
রাখিস্ কিন্তু কিছু আরো,
উপযুক্ত আপদগ্রস্তে
দিতেই হবে যেটুক পার;
এ-সবগুলির আচরণে
ইষ্টভৃতি নিখুঁত হয়—
এ না ক'রে ইষ্টভৃতি
জানিস্ কিন্তু পূর্ণ নয় । ৭।
শ্রেয়-প্রেয়-ইন্সিতেরে
সেবার দীপন রাগে,
আগ্রহাতুর সন্দীপনায়
রঙ্গিল-প্রীতির ফাগে;
শরীর-মনের যুক্ত নিবেশ
তৎপরতার সাথে,
আহরণে নিত্য-নবীন
অর্ঘ্য দিয়ে তাঁ’তে;
সার্থকতায় মন-মগজে
স্থিতির অভ্যুদয়,
আপৎকালে প্রতিক্রিয়ায়
করেই আপদ ক্ষয়;
উদ্বৰ্দ্ধনে সন্দীপনায়
তুলেই ধরে গৌরবে,
নিপাত করি' শতেক ব্যাঘাত
ব্যর্থ ক'রে রৌরবে;
এ অভ্যাসে অভ্যস্ত যে
সামর্থ্যী-যোগ পায়,
ইষ্টভৃতির তুকই ঐ
ব্যর্থ ব্যাঘাত তা'য় । ৮।
যজন, যাজন, ইষ্টভৃতি
মহান্ ভয়ে তরার নীতি । ৯।
যজন, যাজন, ইষ্টভৃতি করলে কাটে মহাভীতি । ১০
*বি.দ্র.: অনেক সময় কোন একটি লাইনের শেষের শব্দটি নিচের লাইনে দেখা যায়। বিশেষ করে মোবাইলে দেখলে এমন হয়। তবে মোবাইলে ডেক্সটপ ভিউ চালু করলে ঠিক দেখাবে। মোবাইলে গুগল ক্রোম – এ ডেক্সটপ ভিউ চালু করতে Desktop site এ ক্লিক করুন।