অনুশ্রুতির ১ম খন্ডে “ইষ্টভৃতি স্বস্ত্যয়নী” শিরোনামে পৃষ্ঠা ৩১৭ – ৩৩৪ পর্যন্ত মোট ৭৪টি বাণী রয়েছে।
এর মধ্যে ১১ – ২০ নং বাণী নিচে দেয়া হলো।
যজন, যাজন, ইষ্টভৃতি তিনটি আয়ুধ ল'য়ে, চল্ রে চ'লে আর্য্য ছেলে জীবনপথটি ব'য়ে । ১১।
জপধ্যান মনে-মনে
সেবায়-মুখে যাজন,
যা'ই করিস্ না করিস্ রে তুই
ইষ্টভৃতি পালন;
দুঃখ-দৈন্য আপদ-বিপদ
যখনই যা' আসুক,
দেখিস কেমন যাবেই উবে
যত যাই না থাকুক । ১২।
বিপদ-আপদ বেড়াজালে
শক্তিই যদি পেতে চাস্,
শ্রদ্ধাভরে ইষ্টভৃতি
নিত্য পালিস্ কাটবে পাশ;
নিত্য করিস্ ইষ্টভৃতি
প্রাণপণে যা' পারিস্,
দৈনন্দিন এই করাটাই
আনবে ব’য়ে আশিস্;
ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম যতই করিস্
ইষ্টভৃতি ফেলে,
সবই জানিস্ হ'ল ব্যর্থ
ওরে আর্য্য ছেলে । ১৩।
সব চেয়ে তোর বড় ধন্দা
ইষ্টভৃতি হ’লে,
তখন থেকেই দেখতে পাবি
জীবন কেমন ফলে । ১৪।
ইষ্টধন্দার তুক্ কী জানিস?
ইষ্টভৃতি পালা,
এই তুকেরই খাঁটি পালা'য়
জুড়োয় অযুত জ্বালা । ১৫।
ইষ্টভৃতির ধান্ধাই যদি
মাথায় মজুত রইল না,
লক্ষ টাকা করলেও দান
ধৰ্ম্ম তোরে বইল না । ১৬।
লাখ চাহিদার খোরাক জোগাস্
ওই দশাতেই নিত্যদিন,
প্রেষ্ঠে দিতে থমকে গেলি
দেওয়ার বুক এমনি ক্ষীণ । ১৭।
ইষ্টভৃতির ভোজ্যই রীতি
অনুকল্পে জোটে যা',
বিনিময়ে ভোজ্য মেলে
এমনি দিয়ে রাখিস্ তা' । ১৮।
যতই আসুক আপদ-বিপদ
যেমনই হোক প্রাণ—,
ইষ্টভৃতি আনেই আনে
সবার পরিত্রাণ । ১৯।
দৈনন্দিন আহার যেমন
ইষ্টভৃতি রাখিস্ তেমন,
এইটিই জানিস্ নেহাৎ কম
এরও কমে কি নয় বিষম ?
পারলে কমে যাস্ই না
কপটব্রতী হ’স্ই না । ২০।