অনুশ্রুতির ১ম খন্ডে “ইষ্টভৃতি স্বস্ত্যয়নী” শিরোনামে পৃষ্ঠা ৩১৭ – ৩৩৪ পর্যন্ত মোট ৭৪টি বাণী রয়েছে।
এর মধ্যে ৬১ – ৭৪ নং বাণী নিচে দেয়া হলো।
শ্রেষ্ঠোপচারে ভোজ্য কিংবা অনুকল্পে অর্থ তা'র, নিবেদনই স্বস্ত্যয়নীর অনুষ্ঠানটি জানিস্ সার; যেমন জনের যে-ক্ষমতা তা'রই শ্রেষ্ঠ আহরণ, করাই হ'চ্ছে স্বস্ত্যয়নীর আসল অটুট উৎসর্জ্জন ; এর বিকল্পে যখন যেমন হবে জানিস্ সংস্থিতি, তা'তেই পালিস্ স্বস্ত্যয়নীর অনুষ্ঠানী ভিতনীতি । ৬১।
ঝমঝমিয়ে দক্ষ তালে স্বস্ত্যয়নীর পাঁচ বিধি, রিমি-রিমি থাকবি চলায় নিত্য পালি' ঐ নীতি, ধর্ম্ম পাবি অর্থ পাবি কাম-মোক্ষ হবে দাস বাঁচবি রে তুই, বাড়বে জাতি দুর্ব্বিপাকের কাটবি ফাঁস । ৬২।
স্বস্ত্যয়নী পালে না উন্নতিতে চলে না । ৬৩।
যেমন গ্রহই থাক্ না রে তোর গ্রহের ফেরে পড়বি কম, থাকতে আয়ু ঘা'ল হ'বি না থাকিস স্বস্ত্যয়নীক্ষম । ৬৪।
দারিদ্র্যব্যাধি করতে রে দূর স্বস্ত্যয়নীই অস্ত্র, জাতির আঘাত-অপনোদনে ঐটিই মহাশস্ত্র । ৬৫।
জীবন-বীমা স্বস্ত্যয়নী জাতের বীমাও ওই, স্বস্ত্যয়নী-অবজ্ঞাতে কিসে পাবি তুই থই? লেন-দেন হ'তে উপচে রাখার সঙ্গতি যা'তে হয়, অর্থনীতি চুমকী তুকটি ওর সমাধানে রয়; তাইতো বলি বাতুল পাণ্ডা স্বস্ত্যয়নীই ধর্, নিজে বাঁচ্ আর দেশটা বাঁচা ধরিস নে আর পর । ৬৬।
যজন-যাজন-ইষ্টভৃতি ধ'রেই ধৰ্ম্মপথে চল্, স্বস্ত্যয়নী জীবন-যুদ্ধে অস্ত্র কর্—বাড়বে বল । ৬৭।
আর কিছু যদি নাও করিস্ স্বস্ত্যয়নী রাখ্ অচল, সৰ্ব্ব নীতি পূজবে তোরে পাবিই বুকে অযুত বল । ৬৮।
যা' করেই বেড়াস্ না তুই ভাবনা কি রে তোর? স্বস্ত্যয়নীর পাঁচটি নীতি পালিস্ জীবনভোর । ৬৯।
শোন্ রে আর্য্য ছেলেমেয়ে শক্তি যদি চাহিস, যেমন পারিস্ সারাজীবন স্বস্ত্যয়নী পালিস । ৭০।
স্বস্ত্যয়নীর পাঁচটি নীতির
যেটি পালন করছ না,
সেইটি জেনো বিপাক পথে
আনতে পারে লাঞ্ছনা । ৭১।
যত ব্রতই করিস্ না তুই সেরা স্বস্ত্যয়নী, করতে-করতেই দেখতে পাবি উন্নয়নের খনি । ৭২।
অনটনে যদিও থাকিস্, ভিক্ষাতেও স্বস্ত্যয়নী রাখিস, এরই ফলে দেখতে পাবে ক্রমেই সম্পদ ফেঁপে যাবে; প্রশ্নশূন্য অটুট ঝোঁকে আমার কথা পেলেই দেখিস্ । ৭৩
সমাজ-রাষ্ট্রে স্বস্ত্যয়নী যতই বেশি পালবে, স্বাবলম্বে আসবে স্বরাজ স্বাধীনতা মিলবে । ৭৪।