ইষ্টভৃতি নিয়ে আলোচনা-প্রসঙ্গে ৪র্থ খন্ড

ইষ্টভৃতি নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গের ৪র্থ খন্ডের ১১৭, ১৩৩, ১৭০, ১৮৪, ২০৪, পৃষ্ঠায় আলোচনা রয়েছে। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলো।

২রা কার্ত্তিক, ১৩৪৯, সোমবার (ইং ১৯/১০/১৯৪২)

….
এইসবের পর অমূল্যদা জিজ্ঞাসা করলেন—দীক্ষা নিয়ে করণীয়গুলি করতে যদি ভাল না লাগে, তখন কী করা যায়?

শ্রীশ্রীঠাকুর—যজনে ভিতরটা উদ্বুদ্ধ ক’রে তোলে, যাজনে পারিপার্শ্বিক integrated (সংহত) হয় ইষ্টে, সেই পারিপার্শ্বিক সর্ব্বপ্রকারে সহায়ক হয় জীবন-চলনার। তাই যজন না করলে ভিতরটা থাকে নীরেট হ’য়ে, আর যাজন না করলে পারিপার্শ্বিক আমাদের বাঁচা-বাড়ার পরিপোষক না হ’য়ে পরিপন্থী হ’য়ে ওঠে। তাকেই বলে নিয়তি, আমরা তখন তাদের খপ্পরে পড়ে যাই, দুর্গতির সীমা থাকে না। তবে, সর্ব্বোপরি দরকার ইষ্টভৃতি। এই তিন pillar (স্তম্ভ)-এর সঙ্গে যদি নিজেকে বেঁধে রাখ, তবে কোন ঝড়ঝাপটা বা বন্যা তোমাকে স্থানচ্যুত করতে পারবে না। ভগবানের নাম বিধি, কিছু করলে তবে ফল পাবে, না করলে পাবে না, ঝুলে থাকবে। ভাল লাগুক না লাগুক, করতে হয়। অনেক রোগীর মিছরি খেয়েও মিষ্টি লাগে না, তিতো লাগে, খেতে থাকলে আবার ঠিক হয়।
….

৪ঠা কার্ত্তিক, ১৩৪৯, বুধবার (ইং ২১/১০/১৯৪২)

….
আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে কথা উঠলো।

শ্রীশ্রীঠাকুর ধীরভাবে বলতে লাগলেন—গালগল্প হিসাবে সমস্যার আলোচনা করলে কিন্তু সমাধান মিলবে না। আমি তোমাদের যা’-যা’ করতে বলেছি সেগুলি যদি কর, তাহ’লে দেখতে পাবে—ব্যাপার অনেকখানি সরল হ’য়ে আসছে। প্রথমে অন্যকে ঠিক করবার কথা ভাবতে নেই, প্রথমে ভাবতে হয় নিজেকে ঠিক করার কথা। নিজেকে ঠিক করা মানে ইষ্টানুগ আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মনিয়ন্ত্রণের সঙ্গে-সঙ্গে পরিবেশকে নিয়ন্ত্রিত ক’রে চলতে হয়। প্রথমটা হ’লো যজন আর দ্বিতীয়টা হ’লো যাজন। আর, ইষ্টের সঙ্গে একটা আত্মীয়তার সম্পর্ক পাতাতে হয়। তাঁকে সব চাইতে আপন ক’রে নিতে হয় নিজ সক্রিয় স্মৃতি ও বোধভূমিতে। এ-কথা বলার একটা তাৎপর্য্য আছে। ইষ্টপুরুষ যিনি, তাঁর কাছে সবাই তাঁর আপন। আর, তিনি সেইভাবে সবার জন্য ভাবেন, বলেন ও করেন। কিন্তু আমাদের তাঁর জন্য যদি ভাবা, বলা, করার খাঁকতি থাকে, তাহ’লে আমাদের সক্রিয় স্মৃতি ও বোধভূমিতে এই ভাবটা জাগ্রত থাকে না যে তিনিই জীবনে প্রথম ও প্রধান। এই বোধটা ফুটিয়ে তোলার জন্য যজন-যাজনের সঙ্গে চাই নিষ্ঠাভরে ইষ্টভৃতি ক’রে দিনযাত্রা সুরু করা। অন্নজল গ্রহণ করার পূর্ব্বে যে ইষ্টভৃতি করার বিধান আছে, তার কারণ হচ্ছে আমার ক্ষুন্নিবৃত্তির প্রয়োজনের থেকেও তাঁর তর্পণ-নন্দনাকে বড় ক’রে দেখা, সেইটেকেই প্রাধান্য দেওয়া। তাই যজন, যাজন, ইষ্টভৃতি আবেগভরে, নিষ্ঠাসহকারে পালন করতে-করতে আত্মপ্রীতির থেকে ইষ্টপ্রীতিই প্রবল হ’য়ে ওঠে। ইষ্টপ্রীতির সঙ্গে-সঙ্গে আসে পরিবেশের প্রতি প্রীতি। এইভাবে মানুষের ভিতরে সত্তাপোষণী গুণাবলীর বিকাশ হয়। ঐ গুণগুলিই মানুষকে টিকিয়ে রাখে, বাঁচিয়ে রাখে। সৎসংহতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সেবা এবং অসৎ-নিরোধী প্রচেষ্টা তখন সহজ হ’য়ে ওঠে। তোমরা তো বিশেষ কিছুই করনি, কিন্তু right line-এ (ঠিকপথে) move করার (চলার) ফলে তোমাদের মধ্যে যে দানাবাঁধা রকমটা গজিয়ে উঠছে, তা’ কিন্তু আজকের দিনে দুর্লভ। পরমপিতার দয়ায় তোমরা সুস্থ, সুদীর্ঘজীবী হও, অন্যকে বাঁচিয়ে বাঁচবার বুদ্ধি নিয়ে চল, অন্যকে বড় ক’রে নিজেরা বড় হও। তাহ’লে আমার অন্ততঃ এই আত্মপ্রসাদটুকু থাকবে যে, আমি সারাজীবন শুধু ঘবঘবি বাজাইনি, পরমপিতার যারা, তাদের খানিকটা সেবা ক’রে ধন্য হ’তে পেরেছি। আজকাল ভাই ভাইয়ের বুকে পয়সার জন্য ছুরি বসাতে দ্বিধা করে না, সেই বাজারে তোমরা অন্যকে দিতে কুণ্ঠিত হও না, প্রার্থী কেউ এসে দাঁড়ালে ফকাৎ ক’রে দুই-চার আনা, আট আনা, একটাকা, দু’টাকা, পাঁচটাকা পর্য্যন্ত পকেট থেকে বের ক’রে দাও। কাছে না থাকলে ভিক্ষা ক’রে সংগ্রহ ক’রে দাও। আবার, কোন কারণে যদি দিতে না পার, ব্যথিত হও। মনের এই প্রসারটুকু যে হয়েছে একি কম কথা? তোমাদের চলনা ঠিক থাকলে দেখবে, এটা সমাজের মধ্যেও চারিয়ে যাবে। কত লোক আমার কাছে এসে তাদের গোপন দুষ্কৃতির কথা ব’লে প্রায়শ্চিত্তের বিধান চায়। আত্মশুদ্ধির আগ্রহ না জাগলে মানুষ কি কখনও এমন করে? আমার কাছে কেন, তোমাদের কতজনের কাছেও কয়। তাহ’লে বুঝে দেখ, পরমপিতার দয়ায় তোমরা কতখানি সুবাতাস তুলে দিয়েছ দেশে। এই উপকারের তুলনায় আর সব উপকার মিছে। তাই শাস্ত্রে কয়, ধৰ্ম্মদানই শ্রেষ্ঠ দান। তোমরা ঋত্বিকরা হ’লে ধৰ্ম্মদাতা। যা’ দান করতে হবে তা’ আগে নিজেরা অর্জ্জন করতে হয়, সঞ্চয় করতে হয়। তফিলে থাকলে তবে তো পারবে অন্যকে দিতে! তাই চরিত্রের তফিল বাড়িয়ে তোল এন্তার। এই-ই সাধ্য, এই-ই সাধন।

৭ই কার্ত্তিক, ১৩৪৯, শনিবার (ইং ২৪/১০/১৯৪২)

….
মধুদা (ঠাকুরতা)—সবার কাছে তো যাজন করার প্রয়োজন হয় না। যারা আপনার কথা জানে না, তাদের কাছেই যাজন করার দরকার।

শ্রীশ্রীঠাকুর—আমার কিন্তু তা’ মনে হয় না। যারা জানে তাদের পরস্পরের মধ্যেও আলাপ-আলোচনা যত বেশী হয়, ততই ভাল। জানাটার শেষ নেই, যত আলাপ-আলোচনা করা যায়, ততই fine points (সূক্ষ্ম বিষয়) বের হ’তে থাকে। আর সেইটে হ’য়ে ওঠে এক উপভোগ্য ব্যাপার। তাছাড়া ইষ্টপ্রাণ যে, সে পরিবেশের কাছে কখনও passive (নিষ্ক্রিয়) হ’য়ে থাকবে না। সৎসঙ্গীদের মধ্যেও বেফাঁস কথা, বেভুল ধারণা ও বেচাল চলনের অভাব নেই, সেগুলি যদি তখন-তখনই properly counteract (যথাযথভাবে প্রতিরোধ) না করেন, তাহ’লে কিন্তু আপনারাও educated (শিক্ষিত) হবেন না, তারাও educated (শিক্ষিত) হবে না। নিজেকে ও পরিবেশকে প্রতিনিয়ত adjust (নিয়ন্ত্রণ) করার তালে থাকতে হবে। নিজেদের কারও ভিতর কোন undesirable knot (অবাঞ্ছনীয় গাঁইট) দেখা সত্ত্বেও যদি চুপ ক’রে থাকেন, স্থানকাল-পাত্র-অনুযায়ী তার নিরসনে যা’ করণীয় তা’ যদি না করেন, কিংবা তথাকথিত ভালমানুষের মতো সায় বা প্রশ্রয় দিয়ে যান, তাহ’লে কিন্তু আপনি নিজেই নিজের ক্ষতি করলেন। একদিন দেখবেন ঐ knot (গাঁইট) আপনার অজ্ঞাতে আপনাকেই পেয়ে বসবে। আবার, যার knot (গাঁইট)-টা খুলে দিলেন না, সে তো কষ্ট পাবেই, এবং সেও আবার তার পরিবেশকে infect (সংক্রামিত) করতে থাকবে। এইভাবে সমাজে evil (দোষ) spread (বিস্তার লাভ) ক’রে চলবে। তাহ’লেই দেখুন নিজেদের মধ্যেও প্রতিনিয়ত সজাগ যাজনের প্রয়োজন কতখানি। একটা মুহূর্ত্ত অসতর্ক ও অলস হ’য়ে আছেন কি শয়তান সেই মুহূর্ত্তেই তার জাল বিস্তার করতে-করতে এগিয়ে চলবে। আপনাদের তাই ঘরে-বাইরে অতন্দ্র ও অবিচ্ছেদ্যভাবে যজন, যাজন ও ইষ্টভৃতি ক’রে চলতে হবে, নইলে কালের কবল ও ছোবল থেকে রেহাই পাওয়া দুষ্কর হবে। অনেক মানুষ অনেকদিন ধ’রে যজন, যাজন, ইষ্টভৃতি না করায় অনেক কিছু আজ ভগবানের বেহাতি হ’য়ে গেছে, আপনারা নিরন্তর কঠোর তপস্যা না করলে এ সঙ্গীন অবস্থার প্রতিকার হবে না।
…..

২০শে কার্ত্তিক, ১৩৪৯, শুক্রবার (ইং ৬/১১/১৯৪২)

….
কেষ্টদার বিশেষ কাজ থাকায় উঠে গেলেন। কথা হ’চ্ছে এমন সময় শরৎদা (কৰ্ম্মকার) এসে উপস্থিত হলেন। তিনি বললেন—যুদ্ধের সময় বার্ম্মার সৎসঙ্গীরা যে প্রতি পদে-পদে আপনার অযাচিত দয়া কত পেয়েছে, তার তুলনা হয় না, সবার সব ঘটনাগুলি লিখে রাখলে একখানা বিরাট বই হ’য়ে যেত।

শ্রীশ্রীঠাকুর—সবই পরমপিতার দয়া। গীতায় আছে—“স্বল্পমপ্যস্য ধৰ্ম্মস্য ত্রায়তে মহতো ভয়াৎ।” যজন, যাজন, ইষ্টভৃতি বিধিমাফিক করে যারা, তাদের ভিতর অজানতে যে কতখানি শক্তি সঞ্চিত ও সংহত হ’তে থাকে, তা’ সাধারণ অবস্থায় ততখানি বোঝা যায় না। Crisis (সঙ্কট)-এর সময় বিশেষভাবে বোঝা যায়।

‘যজন যাজন ইষ্টভৃতি
করলে কাটে মহাভীতি।’

এ কথা ঠিকই। মানুষ ভাল ক’রে করে না, ব্যাগার শোধ দেওয়ার মতো করে, তাতেই এই। আর, নিষ্ঠাসহকারে যদি করতো, তাহ’লে এদের সামনে দাঁড়ান কঠিন ছিল। আর, ভাল সৎসঙ্গীদের মৃত্যুকালীন অবস্থার বর্ণনা যা’ শুনি তাতে আশ্চর্য্য লাগে। অনেকেই নাম করতে-করতে বা নাম শুনতে-শুনতে পরমপিতার চিন্তা নিয়ে শান্তিতে যেন পরমপিতার কোলে ঘুমিয়ে পড়ে। মৃত্যুকালে এইরকম উচ্চস্তরে মন বেঁধে রাখা বড় সহজ কথা নয়। তার মানে পরমপিতার দয়ায় এক জীবনেই তাদের কাজ অনেকখানি এগিয়ে যায়……
…..

১০ই পৌষ, ১৩৪৯, শনিবার (ইং ২৬/১২/১৯৪২)

…..
সকালে শ্রীশ্রীঠাকুর মাতৃমন্দিরের বারান্দায় বসেছেন। কেষ্টদা (ভট্টাচার্য্য) প্রমুখ অনেকেই উপস্থিত আছেন।

শ্রীশ্রীঠাকুর নিজে থেকেই বলছেন—যে-সব জায়গায় বোমা পড়ছে, বোমা পড়বার সম্ভাবনা, সে-সব জায়গা থেকে নিকটতম নিরাপদ এলাকায় লোকজন সরাবার ব্যবস্থা করা লাগে। গ্রাম-এলাকা, যেখানে কোন military objective (সামরিক লক্ষ্যবস্তু) নেই, ইত্যাদি জায়গা নিরাপদ ধ’রে নেওয়া যেতে পারে। আর যারা থাকবে, অন্যত্র যেতে পারবে না, তাদের মনোবল যাতে ঠিক থাকে, তার ব্যবস্থা করতে হয়। মানুষ nervous ও panicky (ভীত ও আতঙ্কগ্রস্ত) হ’লে ভুল চলনে চ’লে বিপদ ডেকে আনে বেশী ক’রে। মনের স্থৈর্য্য থাকে না, তাই কোনটাতেই আস্থা রাখতে পারে না, স্থির থাকতে পারে না, ঐ অবস্থায় কেউ-কেউ আবার ছটফট ক’রে ছুটোছুটি করতে থাকে, ওতেই আরো বিপদে প’ড়ে যায়।

কেষ্টদা—এর প্রতিকার কী?

শ্রীশ্রীঠাকুর—আমাদের weapon (অস্ত্র) হ’লো যজন, যাজন, ইষ্টভৃতি। যত গভীরভাবে ওর ভিতর ঢুকব, ততই বুদ্ধি-বিবেচনা পরিষ্কার হবে। ধৈর্য্য, স্থৈর্য্য, মনোবল বেড়ে যাবে, চলনটাও অভ্রান্ত হবে, এমন কি বিপদ আসবার আগেও টের পাওয়া অসম্ভব নয়। বাৰ্ম্মায় এ-সব কাণ্ড কত ঘটেছে তার সীমাসংখ্যা নেই। তবে খুব নিষ্ঠার সঙ্গে নিবিড়ভাবে করা চাই। মানুষ যখন আর্ত্ত হয় তখন তার concentration (একাগ্রতা) ও surrender (আত্মসমর্পণ)-ও বোধ হয় deeper (গভীরতর) হয়। আবার, আশপাশের সকলকেও যজন, যাজন, ইষ্টভৃতির আওতায় নিয়ে আসতে হয়, পরিবেশ ঠিক না হ’লে তারাই নিয়তির মতো কাজ করে।

শ্রীশ্রীঠাকুর—আমাদের attitude (মনোভাব) থাকবে religious (ধর্ম্মীয়), আমরা ঈশ্বর মানি, ধৰ্ম্ম মানি, প্রেরিত মানি, রাজাকে বা রাজশক্তিকে জানি ধর্ম্মরক্ষক ব’লে, আর ধর্ম্ম বলতে বুঝি—’যেনাত্মনস্তথান্যেষ্যং জীবনং বর্দ্ধনঞ্চাপি ধ্রিয়তে স ধৰ্ম্মঃ’ (যাতে নিজের ও অপরের জীবন ও বৃদ্ধি ধৃত হয়, তাই ধর্ম্ম)। আবার, এ-কথাও বুঝিয়ে দিতে হবে যে, আমরা কা’রও prophet (প্রেরিত)-কে অস্বীকার করি না, বরং প্রত্যেককেই নিজের ব’লে জানি ও মানি। প্রকৃতপক্ষে মঙ্গলকামী কা’রও সঙ্গে আমাদের কোন বিরোধ নেই। এতে কা’রও চটার কারণ থাকবে না।

কেষ্টদা—আপনি ইষ্টভৃতির উপর এত জোর দেন, কিন্তু কেউ যদি জেলে আটকা পড়ে এবং সেখানে কোন সুযোগ না পায়, তখন কী করবে?

শ্রীশ্রীঠাকুর—ভাতের গ্রাসটা দেবে, ভাত যদি না পায় তবে জল নিবেদন করবে, জল যদি না পায় তবে সীতা যেমন বালির পিণ্ডি দিছিলেন, অগত্যা সেইরকমভাবে বালি বা মাটি দিয়ে ইষ্টভৃতি করবে, তা’ও যদি না পায়, পরমপিতার দান বাতাস তো কেউ কেড়ে নিতে পারবে না, আর সর্ব্বশেষে মানস-উপচারে নিবেদন তো আছেই। সেখানেও চেষ্টা করতে হবে সক্রিয়ভাবে ইষ্টের ইচ্ছা পরিপূরণের ভিতর-দিয়ে যাতে তাঁকে তৃপ্ত ও তুষ্ট করা যায়।
……..