কপট টান নিয়ে অনুশ্রুতি ১ম

অনুশ্রুতির ১ম খন্ডে “কপট টান” শিরোনামে পৃষ্ঠা ১৮৫ – ১৯৯ পর্যন্ত মোট ৭৬ টি বাণী রয়েছে। বাণীসমূহ নিচে দেয়া হলো।

লক্ষ্য করলি একদিকে তুই 
           চললি ধ'রে অন্যপথ,
যা'ই না করিস্ কর্ম্মে-কাজে
           পাবি কিন্তু অন্য মত । ১।
কপটতা থাকলে পরে
        উন্নতি কি ঢোকে ঘরে ? ২।
মিথ্যা-কপট ধাপ্পা-ধাঁজে
স্বভাব রঙ্গিল হ'লে,
সত্য-সরল শুভ যাহা
উল্টো বুঝেই চলে। ৩।
চেয়ে পাওয়ায় ভালবাসা
দেওয়ার বেলায় ফাঁক,
আত্মপুষ্টি ঘুচিয়ে তা'রা
অযথা সাজে কাক। ৪।
তোমার প্রতি মন যেন রয়
তোমায় যেন বাসি ভালো,
দ্বন্দ্ববিধুর এ প্রার্থনার
অন্তরেতে না-এর কালো। ৫।
তোমার ভালবাসা যদি 
করেই প্রিয়র স্বস্তিহরণ,
ভালবাসা নয়কো তোমার
আত্মপোষা কামুক দহন। ৬।
গুণগ্রাহিতা যতই কম
শিথিল ততই প্রীতির দম। ৭।
চোর-ডাকাত-লম্পট কিংবা
দেখতে সাধু-সজ্জন,
নিষ্ঠা-নেশায় প্রত্যয় নেই
চরিত্রে হীন এমন জন। ৮।
নিষ্ঠা-নেশা-প্রত্যয়হীন
লোকটি ভাল বিচক্ষণ,
দ্বন্দ্ব-দোলায় জীবন চলে
চরিত্র তা'র ঠিক তেমন। ৯।
পেলি কতই, দিলি কী?
ঢাললি শুধুই ছাইয়ে ঘি। ১০।
চাহিদার করা 
      কম যেমন,
ততই অভাব
      ফাঁকা মন । ১১।
যে-কাজেই তুই নিয়োজিত
তা' বাদ বাইরে টান
হ'লেই জানিস্ করবি নিছক
মালিকের লোকসান। ১২।
মজুরীতে লক্ষ্য যাহার
পয়সাগত টান,
নাই সেখানে খাঁটি হৃদয়
একনিষ্ঠ প্রাণ। ১৩।
করল এত ধরল এত
কতই পেলি পোষণা,
যাই যা' পেলি ভুললি সে-সব
ভুলেই গেলি তোষণা;
যা' পেয়েছিস্ শরীর-জীবন
যদিও করছে ঘোষণা,
মন-বেকুব তোর ভুললো করায়
অকৃতজ্ঞ এষণা। ১৪।
নিন্দাবাদে শুকিয়ে আসে
সংকোচনে হৃদয়বেগ,
দক্ষ-চলন দৈন্য-শিথিল
ঘনায় বুকে হুতাশ-মেঘ। ১৫।
পরের নিন্দা-অপবাদে
আপোষ রফায় থাক,
নিজের বেলায় উগ্রচণ্ডা
ন্যায়ের বিচার হাঁক;
ভণ্ড এমন মুরুব্বিয়ানা
যতদিনই থাকবে তোর,
বেইমান তো থাকবিই হ'তে
আরও হ'বি ভণ্ড ঘোর। ১৬।
ইষ্টের চেয়ে থাকলে আপন
ছিন্নভিন্ন তা'র জীবন। ১৭।
টান হ'ল তোর ইষ্টে অসীম
পরাক্রমহীন কিন্তু,
পশুর টানেও বিক্রম থাকে
তুই কেমনতর জন্তু। ১৮।
বৃত্তিলোলুপ কপট ঝোঁকে 
আদর্শে তোর টান,
ইষ্ট-ধুয়োয় বৃত্তি সেবি'
হয় কি পরিত্রাণ ? ১৯।
প্রিয় পাওয়ার ঝোঁকের তাড়ায়
         সঙ্গতি-সামঞ্জস্য ছাড়া,
বৃত্তিমাফিক চায় প্রিয়কে
         প্রিয়ের স্বার্থে দৃষ্টিহারা;
টানটি-সহ বুদ্ধি তখন 
         বিক্ষোভে হয় জর্জরিত,
বৃত্তি-রঙ্গিল প্রেষ্ঠ-পাওয়া
         হ'য়েই থাকে জীবন্মৃত । ২০।
ইষ্টস্বার্থের ধুয়োতে তুই
আত্মস্বার্থ ঢাকি'
চলছিস্ ক'রে ছলাকলা
দিয়ে তাঁ'রে ফাঁকি;
চলতে গিয়ে এমনি চালে
ঠক্কর লাগে ফাঁকির তালে,
বৃত্তি-লেজে পা প'লে যায়
ইষ্টনিষ্ঠা বাঁকি'। ২১।
ইষ্টসেবা ব্যাহত হয়
এমন কাজ বা প্রয়োজন,
পদে-পদেই বিপাক আনে
ভ্রান্তি আনে অগণন। ২২।
বিপদ-বাধায় ধাঁধিয়ে দিল—
আবেগ কোথায় তোর?
কপট ইষ্টপ্রীতি নিয়ে
হ'লি যে তুই চোর। ২৩।
করলি সাধন, করলি রে যোগ
         শব্দ-জ্যোতি দেখলি কত,
ইতর আমির চরিত্র যা'
         রইল তা' সব স্বভাবগত;
এমন হ'ল কেন রে তোর
         দেখলি ভেবে বেকুব তা'য়?
ইষ্টস্বার্থী প্রাণনাতে
         বাঁধিসনি তুই আপনায় ! ২৪।
ঠাকুর দেখিস্, দেবতাই দেখিস্ 
লাখ বিভূতিই হোক,
কী হ'ল না বদলালে তোর
বৃত্তি-রঙ্গিল ঝোঁক ? ২৫।
ইষ্ট ছাপিয়ে তোর জীবনে
যা'র প্রয়োজন মুখর হবে,
সেই পথেতে সর্ব্বনাশটি
তোর তরেতেই দাঁড়িয়ে র'বে। ২৬।
আদরভরা সুখ্যাতি আর
        বাহাদুরীর ইন্ধনে,
ইষ্টটানের বগবগানি
        ধরলি বৃত্তিচিন্তনে;
(তোর) বৃত্তি-নেশায় সাধ্ল রে বাদ
        ইষ্টস্বার্থী শাসন,
টানের বহর ছিটকে গেল
        আপসোসভরা মন;
ইষ্টস্বার্থী কষ্টিকষা
         হ'ল রে যেই শুরু,
সন্দেহ আর অবিশ্বাসে
        কুঁচকে গেল ভুরু।
তবেই বুঝিস্ কেমন প্রাণ তোর
        কীই বা পেতে পারিস,
ফাঁকির খাওয়ায় পেট ভরে না
        এটাও তো তুই বুঝিস্। ২৭।
ইষ্টদ্রোহী শিষ্ট-চলন 
বৃত্তিবাদী আত্মশ্লাঘী,
থাকিস্ স'রে ভণ্ড-সাধু
গুল-বাঘাটায় দূরেই রাখি'। ২৮।
প্রেষ্ঠহারা বৃত্তি-চলন
ব্যর্থ করে সংস্থান,
বিশৃঙ্খলী বুদ্ধি আনে
বিকৃত হয় স্নায়ুর টান। ২৯।
ইষ্ট-পথে অচল চলন
        অবস্থাতে নত,
বৃত্তি-তাড়ায় কর্তব্যবোধ—
        বিধ্বস্ত নিয়ত। ৩০।
প্রেষ্ঠ-দায়িত্ব বইতে নারাজ
আর সব পারিস্ সইতে,
সার্থক বৃত্তি হবে কি তোর?
দুঃখ র'বে না কইতে। ৩১।
প্রেষ্ঠ ছাপিয়ে বৃত্তি টান
ভক্তি জানিস্ তখনি ম্লান। ৩২।
সামর্থ্যকে শিথিল ক'রে 
ভক্ত-বিটেল সাজে,
ইষ্টেই সে আঘাত হানে
সকলই তা'র বাজে। ৩৩।
বজ্র-জীবন যাবেই ধ্ব'সে
         বুঝলি বুদ্ধিমান ?
ইষ্টনেশার দক্ষতা-দীন
         করলে কোন টান। ৩৪।
স্বার্থী-কষাই কামুক-সাধু
জানিস্ কেমন তা'য়?
শকুন যেমন উচ্চে উঠে
ভাগাড়-পানেই চায়। ৩৫।
প্রেষ্ঠস্বার্থ নিরোধ ক'রে
        বৃত্তিটান যেই ধরল,
উন্নতিটি খোঁড়া হ'য়ে
        আঁস্তাকুড়ে পড়ল ! ৩৬।
ভাল হবার অযুত চিন্তায়
আপসোস কত শত,
সবই ব্যর্থ তা'র কাছে তোর
ঝোঁক যাহাতে রত। ৩৭।
অন্তরেরই বৃত্তিখাদের
গুপ্তভাবে কু-চালনা,
উন্মাদনা অবশ ক'রে
করে দুর্ব্বল ইতরমনা । ৩৮।
ইষ্টনেশায় যতই শিথিল
      বৃত্তিলোভন দেয় হানা,
সৎনীতিটি কেটে-ছেঁটে
      সুদূরদৃষ্টি করে কাণা। ৩৯।
খাঁকতি আনে যেই প্রয়োজন
ইষ্টস্বার্থ-প্রতিষ্ঠার,
নেহাৎ জানিস্ ঐটি রে তোর
ডাকছে খুলে মরণদ্বার। ৪০।
ইষ্টার্থটি করছো বেহাল
      মানবড়ায়ী বৃত্তিরাগে,
চাচ্ছিস্ তবু আধিপত্য—
      ঈশত্ব তুই রাখবি বাগে ? ৪১।
খেয়াল মাফিক ভজলি গুরু
হ'তে মানুষ হ'লি গরু। ৪২।
সব দিতে তুই করলি গুরু
পেতে পরিত্রাণ,
দিলি কিন্তু নবঘণ্টা,
নিতেই লেলিহান!
এতেও বলিস্ করিস্ ধৰ্ম্ম
ভগবানে দাবী?
ঠকিয়ে মানুষ ঠকলি নিজে
বিধিকেও ঠকাবি ! ৪৩।
গুরুর শাসন আশিস্ ধারায়
      নাই যদি তোর ফুটল প্রাণ,
এলোই শুধু তাঁ'র শাসনে
      মনের বিপাক অভিমান;
ধন্য হওয়া ভুলে র'লি
বৃত্তি-নেশায় বেভুল হলি,
কী করেই বা তৃপ্ত হ'বি
      হবে রে তোর কোথায় স্থান ! ৪৪।
প্রেষ্ঠ-শাসনে শিথিল টান তোর
দুর্ব্বাক্যে অপমান,
প্রেষ্ঠের প্রতি টান নাই তোর
জানিস্ পাওয়ায় টান। ৪৫।
দম্ভরাগী উত্তেজনায়
কিংবা লোভের বশে,
ইষ্টার্থ যেই ব্যর্থ হ'ল
গেলি সেথায় ধ্ব'সে। ৪৬।
যে-বৃত্তিরই যা' মহড়ায়
যে-অঙ্গেরই চালনায়,
ইষ্ট-ব্যর্থ কৰ্ম্ম করে
সে-অঙ্গটি নষ্ট পায়। ৪৭।
ভাবের ঘুঘু ভক্তিবাগীশ
কৰ্ম্মহারা ধর্মপ্রাণ,
আজগবীতেই আস্থা শুধু
জাহান্নমেই তাহার স্থান। ৪৮।
ধর্ম্মনেশায় বিভোর রে তুই
নাইকো ইষ্টে টান,
ও-ভড়ংটা কেবলই তোর
অস্ত্র লোক-ঠকান। ৪৯।
ইষ্টপূরণ নয়কো বড়
আপোষরফায় ভ্রষ্ট গতি,
নিশ্চয় জেনো অন্ধবধির
ধরেই তা'রে ক্রুর নিয়তি। ৫০।
বাহবা বা স্তুতির লোভে
ইষ্টস্বার্থ-প্রতিষ্ঠায়
আঘাত হানে অহং যখন—
নকল শ্রদ্ধা রয় সেথায়। ৫১।
প্রেষ্ঠ-সেবায় নেয় মজুরী
         দিয়ে-থুয়ে কাজে,
দুঃখ-দশায় জাপটে ধরে
         পেতনী বুকে নাচে । ৫২।
বিবেক যাহার ঔদার্য্যে ধায়
       নিষ্ঠাকে নেয় ব্যভিচারে,
শ্রদ্ধামলিন ব্যক্তিত্ব তা'র
       তুচ্ছ করে আদর্শেরে । ৫৩।
ইষ্টসেবায় নাইকো সময়
বিশ্বসেবার অছিলায়,
এমন বিকট বিশ্বপ্রেমিক
নিরয়-পথিক হয় হেলায়। ৫৪।
কথাই শোনে, কাজে করে না—
অধম তা'দের ইষ্টে টান,
আল্সে-বেকুব বাগ্-বিলাসী
তা'রাই নেহাৎ ব্যর্থপ্রাণ। ৫৫।
কথায় ভাবের নাইকো অভাব—
সঙ্গনেশায় কৰ্ম্মপ্রাণ,
দক্ষমাতাল পরাক্রমী
নয়কো যে-জন, দুঃস্থ টান। ৫৬।
সব কথাতেই হুঁ ক'রে যায়
ভক্তি বেড়ায় লাখে,
সার্থক সত্তা নয়কো তাহার
সব-কিছু তা'র বাক্-এ। ৫৭।
বৃত্তিনেশায় সৎলোলুপী
রকম যেথায় বিদ্যমান,
সন্দেহেতে দোদুলদোলা
দেখবে সেথায় কপট প্রাণ। ৫৮।
দুৰ্দ্দশাতে কাবু যখন
বৃত্তিও কাবু তা'য়,
বাঁচার টানে মানুষ তখন
বিধির পথে ধায়,
বিধির পথে পুষ্টি পেয়ে
চিত্ত সবল হ'লে
বৃত্তি-ধন্দার স্বার্থ নিয়ে
আবার ছুটে চলে,
এমনি ক'রে ওঠা-পড়ায়
মরণমুখে ধায়,
ইষ্ট-উৎসর্জ্জনে কিন্তু
সবই পাল্টে যায়। ৫৯।
প্রেষ্ঠস্বার্থ-প্রতিষ্ঠাটি
পূরণ-গড়ন করার লাগি'
তাঁ'রই আদেশ নিতে যাওয়া
করার মুখে ছাইটি দেওয়া,
কপট করার কথার ভাঁওতায়
লোক-দেখান অনুরাগী। ৬০।
বাধাতে যা'র প্রাণের আবেগ
মুষড়ে ভেঙ্গে ফেলে,
অভীষ্ট তা'র কৃতীর আসন
ছেড়ে হ'টেই চলে। ৬১।
বাধা-বিপাকে অবশ-কাবু 
অতিক্রমে ধায় না,
চাওয়াটা তা'র বিলাসিতার
আসলে সে চায় না। ৬২।
প্রেষ্ঠী-ঝোঁকটি রোধে যা'তে
সেই টানই প্রবল,
প্রেষ্ঠ-নেশা অন্তরে তোর
তা'র কাছে দুর্ব্বল;
তাইতে রে তোর করার পথে
অত দেখিস্ বাধা,
প্রেষ্ঠস্বার্থী তপটি যে তোর
শুধুই মনের ধাঁধা। ৬৩।
অন্যেরে হাত করতে গিয়ে
তোরেই তা'দের হাতে নোয়ালি,
প্রেষ্ঠনিষ্ঠা বলি দিয়ে
নেংটি-ঘটি সব খোয়ালি। ৬৪।
আপন বেলায় সব চলে তোর
প্রেষ্ঠে দিতে আটিকুটি,
উন্নতি তোর পথ হারাল
পাওয়ায় পথটা দিলি লুটি'। ৬৫।
প্রেষ্ঠটানের বগবগানি
লোক-ঠকান চাল,
ওই ক'রে তাঁ'র লুটলি কত
করলি রে পয়মাল। ৬৬।
হৃদয়-মনে নয়কো সজাগ
সিদ্ধান্তে শিথিল যে,
হৃষ্ট-ত্বরিত নয়কো কাজে
ক্ষীণ অনুরাগী সে। ৬৭।
বুঝলি কত ঝাঁকলি মাথা
সাধুবাদেই মত্ত র'লি,
ন্যাংটা-কুটিল ! ধরলি নাকো
ফাঁকা চালটি ধ'রেই ম'লি। ৬৮।
বিশেষণের বহর দিয়েই
ভুলাবি ভগবান,
বেকুব তিনি তোরই মত
ভাবিস বুদ্ধিমান!
দিবিনে কা'রও, ঠকিয়ে নিয়ে
করবি উপভোগ,
কুফল পেলে গলা টিপে
দিবিই অনুযোগ;
ওইটি ক'রেই রেহাই কিন্তু
পাবি না কিছুতে,
ভাল করায় ক'রে আহরণ
উজাড় ক'রে দে। ৬৯।
জোর ক'রে কেউ কোনদিনই
টান ধরাতে পারে না,
বিবশ-বিহ্বল করতে পারে
যাদু তুকটি যা'র চেনা,
টানের পোষণ না জুগিয়ে
ধাপ্পা মেরে বশ করে—
মগজ-কণা অবশ ক'রে,
হতবুদ্ধি তা'য় মরে। ৭০।
প্রিয়-দরদ চিত্তে বিঁধে
বিষিয়ে ওঠেনা বুকটা,
উপেক্ষাতে উড়িয়ে দেয়
করতে দোহন সুখটা;
নিজের বেলায় একটু ঠোক্কর
ঝঞ্ঝাবায়ুর সৃজন করে,
প্রিয়প্রেমের দহন-ভানে
প্রতিশোধের বায়না ধরে;
এমন প্রেমিক দোস্তপানায়
গলায় দড়ি সর্ব্বনাশ,
যত পারিস্ দূরেই থাকিস্
থাকতে হ'লে এড়িয়ে ত্রাস। ৭১।
মন-চাহিদায় কপাট দিয়ে
ভাব-আবেগে অন্য কয়—
নিয়তদেবী সেই কপটের
চাপা যা' তা' দীপিয়ে লয়। ৭২।
পুরুষ পেলি ধরল না মন
বিয়ে করলি তবু,
পরাক্রমহীন বৃত্তিটানে
হ'লি জবুথবু;
মনের বরণ হ'ল না তোর
বরণ করলি শরীরটা,
নিলাজ-কপট বেকুব-চালে
জ্বালিয়ে দিলি সংসারটা;
কপট টানে লাই দিয়ে তুই
করলি যেমন ঘোরাল পাপ,
অন্যেরে তুই মারলি যেমন
সইতে হবেই জ্বলন-তাপ। ৭৩।
বাসলি যা'রে ভাল রে তুই
তা'রে কিন্তু মিলল না,
অন্য নিয়ে সেই উপভোগ
পেতে করলি কল্পনা;
তা'র পাওয়া তোর চাওয়া নিয়ে
মনটি হ'ল জটিলা,
বিকৃত তোর টানটি হ'ল
গতিই হ'ল কুটিলা। ৭৪।
বাসতে ভাল এসে রে তুই
বাসলি ভাল কা'রে,
প্রতিদানেও তাই পাবি তুই
মজলি নিয়ে যা'রে। ৭৫।
প্রেষ্ঠ-স্বার্থ-বিমুখ কথন
তেমনি আচার-ব্যবহার,
সন্দীপনী সেবায় ত্রুটি
করেই প্রিয় পরিহার। ৭৬।