অনুশ্রুতির ১ম খন্ডে “কর্ম্ম-কৌশল” শিরোনামে পৃষ্ঠা ২৩৮ – ২৫২ পর্যন্ত মোট ৯৭ টি বাণী রয়েছে। বাণীসমূহ নিচে দেয়া হলো।
চাওয়ার মতন করা হ'লে
তবেই জানিস্ পাওয়া ফলে ।১।
করার ফন্দী নেড়ে-চেড়ে
কায়দা পেলেই উঠবি পেরে । ২।
'হাঁ' আর 'না' এর দূরত্ব যা'
পারা না-পারার তফাৎই তা'। ৩।
পারায় বাধার বহর যত
দুঃখ-দৈন্য ঘিরবে তত। ৪।
মানুষই যা'র স্বার্থ হয়
জীবন তাহার ব্যর্থ নয়। ৫।
করণীয় মনে হ'লেই
করবি তাহা তৎক্ষণাৎ,
আসবে শুভ এই চলনে
করবি জয়ের বাজিমাৎ। ৬।
ছোট্ট-খাট্ট যা'ই না করিস্
অভ্যাস-কৰ্ম্ম-ব্যবহারে,
সে-সম্বেগও চালায় তোরে
জীবন কিংবা সংহারে। ৭।
যেমন ক'রে যা' পাওয়া যায়
তেমনতর করা হ'লে
তবেই জানিস্ সেই করাতে
তেমনিতর পাওয়া ফলে। ৮।
কী করতে পরে-পরে
কী-কী তা'তে লাগে,
করতে হ'লে শুনে-বুঝে
জোগাড় রাখ্ আগে । ৯।
দূরদর্শী চিন্তা নিয়ে
একটুখানি ভেবে দেখে,
কী করতে কী লাগবে তোমার
আগেই দিও সাজিয়ে রেখে। ১০।
যে-অবস্থায় যেমনতর কওয়া-করার প্রয়োজন, সৎ-এর পথে তেমনি করা— তবেই আসে উন্নয়ন। ১১।
ভাল ভাবটা এলেই মনে
রুধিস নাকো ওরে,
কাজে তারে ফুটিয়ে তুলিস্
শীঘ্র সামাল ক'রে। ১২।
আলস্যেরই সম্বন্ধী হয়
দীর্ঘসূত্রী অজ-গোঁসাই,
কাজ নষ্টের গুরুঠাকুর
এর মত আর কেহই নাই। ১৩।
অন্তরায় খতিয়ান
যা'র যত জ্যান্ত,
সিদ্ধির চাহিদাটি
তা'র তত ক্ষান্ত। ১৪।
করতে নজর ছাড়িস্ না
একটু ক'রেই থামিস্ না
করায় বাধা-বিপর্য্যয়
সামলে চলিস, হবেই জয়। ১৫।
কর্ম্মই যা'র উপভোগ
তা'তেই মেতে রয়,
অমোঘ পায়ে কৃতিত্ব তা'র
ঘোষেই নিছক জয়। ১৬।
ভাল দেখার চোখ一
দুঃখ-আঘাত-বিঘ্নে দেখে
সুবর্ণ সুযোগ। ১৭।
প্রাণের পরশ যা'রই যত
সহজ ও তরতরে,
কর্ম্মপটু, নিপুণ স্বভাব
তা'রেই আদর করে। ১৮।
সব-কিছুরই সমাধানে
দেখবি যেথায় উন্নয়ন,
সেইটি জানিস্ নিখুঁত পন্থা
সেই পথেতেই তোর চলন। ১৯।
পরিস্থিতির প্রত্যেকেরই
বৈশিষ্ট্যটি যাহার যেমন,
সমীক্ষাতে রক্ষা ক'রে
বিনিয়ে বিরোধ চলেই যে-জন,
অদ্রোহেতে অধিষ্ঠিত
হ'য়েই সে-জন সদাই থাকে,
অপকারের কুবুদ্ধিটি
স্পর্শ করতে নারে তা'কে। ২০।
আধাত দেখে ভয় করিসনে
সহ্যে সুফল সাজিয়ে আন্,
এই যদি না করতে পারিস্
কিসে পাবি তুই পরিত্রাণ ? ২১ ।
পূর্ণ পথের তিনটি ধারা—
শ্রেষ্ঠ স্বার্থী, সাশ্রয় বুদ্ধি,
সন্ধিৎসাতে কর্ম্মে বাড়া । ২২।
নিষ্ঠা যেমন কর্ম্ম তেমন
ফলটিও হয় তেমনি,
পুণ্য ও পাপ যশ-অপযশ
নিষ্ঠা কৰ্ম্ম যেমনি। ২৩ ।
বেঁচে বাড়ার ভোগের নেশায়
উদ্দেশ্যটি খেলে বেড়ায়,
প্রয়োজন জাগায় অভাব-বোধে
অভাব ডাকেই চাওয়ায়;
চাওয়া চলে পাওয়ার পানে
দুনিয়া খুঁজে পেতে,
কুড়িয়ে চলে জ্ঞানের মাণিক
পাওয়ার ঝোঁকে মেতে;
পাওয়ার ঝোঁকটি যেমনই যা'র
চলন-বলন তেমনি,
পাওয়ার চলন অভীষ্ট দেয়
তপস্যা যা'র যেমনি। ২৪।
সবায় বড় করবি যত
তত বড় হ'বিই তুই,
বড় হবার একটিই পথ
একটি ছাড়া নাইকো দুই। ২৫।
যে-পথ ধ'রে যা' ক'রে তুই ঠকলি বরাবর, ছাড়াই সে-পথ শ্রেয় রে তোর অপর কিছু ধর্। ২৬।
বুঝবি যেমন, বলবি তেমন
স্পষ্ট ভাষায় মিষ্টতাতে,
মন্ত্রগুপ্তি ভেঙ্গে যদি
কার্য্যহানি না হয় তা'তে । ২৭।
যেই যা' ভাবে, ভাবে ভাবুক
যেই যা' করে, করুক তা',
তুই কিন্তু রে বুঝে চলিস্
করায়-বলায় পাবি যা'। ২৮।
ভাল কিংবা মন্দ ব'লে
ভাবিস্ নাকো কা'রে,
কাজে যেমন দেখবি যা'কে
তেমনি নিবি তা'রে। ২৯।
বিবেচনায় ভাল ব'লেই
বুঝলে করবি তৎক্ষণাৎ,
নিরোধ করতে যাসনে তা'য়
করবি ইচ্ছার বাজিমাৎ। ৩০।
পেতেই যদি চাও—
বিবেচনায় বিচক্ষণায়
করার পথে ধাও। ৩১।
সৎসাধুদের সাহায্যে তুই
হ'য়ে দক্ষপ্রাণ,
সবার আগে করবি তাঁ'দের
নিয়ে তড়িৎ টান। ৩২।
যখন যেমন রাখলে ক'রে বিপদ রোধে ভবিষ্যতে, সময় মতন তা'ই করাই হয় সমীচীন বিধিমতে। ৩৩।
ক'রে দেবে তোর উন্নতি কেউ এমন বুদ্ধি বশে, না ব'সে থেকে পূরণ-কর্ম্মে উন্নতি ধর, ক'ষে। ৩৪।
অভাব-আঘাতদগ্ধ জীবন
সেবা-নির্ভর কৃতজ্ঞ মন,
এমন মানুষ ধ্বস্ত হ'লে
সাহায্য দানে সুফল ফলে। ৩৫।
সমর্থনী সহযোগে
আদরে শুভ নিয়ন্ত্রণ,
এমনি ক'রেই পেতে পারিস্
সবারই মন বিলক্ষণ। ৩৬।
শক্ত হ'লেই শক্তি পায়
না করলে কি পারা যায় ? ৩৭।
'না'র ঝোঁকেতে চলল যে-জন
কখনো সে পারল না,
'হাঁ' মতলবে চলল যে তা'র
মূর্ত্ত হ'ল কল্পনা। ৩৮।
লক্ষ্য ক'রে ধরবি যাহা
দেখবি কেমন সুরাহায়,
কাজে-কর্ম্মে চলায়-বলায়
পেতে পারিস্ ঠিক তাহায়। ৩৯।
মুখের বুঝে যাই বল না
চলছ তুমি যা' ক'রে,
সেটাই কিন্তু আছে মাথায়
যা'ই বল যে বোল ধ'রে। ৪০।
গণ্ডী-পোষা বুঝটি নিয়ে
মানুষ খুশি থাকতে চায়,
তুই যেন রে তা' করিস না
আরোয় যেন মনটি ধায়। ৪১।
পারিপার্শ্বিকে নিজের বল
স্থান-কাল আর পাত্র,
বুঝে কৌশলে করলে কাজ
হয় না বিপদ মাত্র। ৪২।
কাজ না-পারার কৈফিয়ৎই
কাজ করা নয় এটি জানিস,
সস্তা সুবিধা সত্বরেতে
কাজ জমানো কৃতী মানিস্। ৪৩।
লোকের যদি ভালই করিস্,
ফাঁকিই যদি দেয় তা'রা,
ওটাই জানিস্ ধীরে-ধীরে
করবেই তোর স্বার্থ খাড়া। ৪৪।
ওরে চিন্তা নিয়েই ভোর?
চিন্তাতে কি ভরবে রে পেট—
হ'লে কৰ্ম্মচোর ! ৪৫।
কৰ্ম্ম যদি বাস্তবতায় মূর্ত্ত ক'রেই তুললি না, প্রাপ্তি যে তোর বন্ধ্যা হ'ল পাওয়ার পথে চললি না। ৪৬।
এক বিষয়ে এক ধরণে
কাটলে জীবন নিত্যদিন,
আত্মসুখী বুদ্ধি বাড়ে
প্রজ্ঞাচক্ষু হবেই ক্ষীণ। ৪৭।
রাখলি মনে অযুত ভাবের
অযুত রকম কল্পনা,
হাতে-কলমে একটিও তা'র
অভ্যাসেতে ফলল না;
এমন ভাবের সম্পদেতে
কী হবে তা' বুঝলে কি?
ভাব যদি না ফুটল কাজে
ঢাললে শুধু ছাইয়ে ঘি । ৪৮ ।
আগ্রহেরই আতিশয্যে
শিথিল-কর্ম্মা যা'রা,
হা-হুতাশের গোঙরানিতে
জীবন তা'দের সারা । ৪৯।
ভেদনীতিতেই আস্থা রেখে
অবস্থানের নিরূপণ
করলে কিন্তু নষ্ট পাবি,
জানিস্ এটা বিলক্ষণ। ৫০।
জ্যোতিষ ধ'রে করতে যে চায়
বাঁচা-বাড়ার কিস্তিমাৎ,
জীবন-চলনা খাবি খেয়ে
হ'য়েই থাকে ধূলিসাৎ । ৫১।
অদৃষ্টেতে বাদুড়-ঝোলা
হ'য়ে জ্যোতিষ ধ'রে চলে,
পুরুষকার দুরদৃষ্টের
অজ্ঞতাতেই ওঠে ফলে'। ৫২।
দেশ-কাল-পাত্র বুঝে-গণে
যে অবস্থায় যা' করতে হয়,
তা' না' ক'রে চললে কিন্তু
কোন কর্ম্মই সিদ্ধ নয়। ৫৩।
চৌর্ঘ্য যাহার অন্তরে রয় প্রত্যয়ে যে ক্ষীণ, প্রমাদ-কর্ম্মী জেনোই সে-জন কৃতিত্বে হয় হীন । ৫৪।
পয়সা দিয়ে ভাল মানুষ পেতে যা'রা যায়, সর্ব্বনাশে পা এগিয়ে বিপাক-পথে ধায়। ৫৫।
ভবিষ্যৎটা এঁচে নিয়ে
বর্ত্তমানের আবহাওয়ায়,
সামাল হ'লে বিধিমত
পড়বি কমই দুৰ্দ্দশায় । ৫৬।
সৎ-ই না হয় সঙ্কল্প তোর
চলন বিপরীত,
নরক-পথের যাত্রী রে তুই
জানিস্ সুনিশ্চিত । ৫৭।
বজ্রভেদী কৰ্ম্মও যদি সার্থক কা'রেও করল না, সে-ও জানিস্ হাওয়ার নাড়ু উপচে কাউকে তুলল না। ৫৮।
কৰ্ম্মপটু কৃতজ্ঞতা বিশ্বস্ততার সাথে, এ তিন যেথায় দেখবি সেথায় রাজার মুকুট মাথে । ৫৯।
বিশিষ্ট লোক মোড়ল মানুষ হাতে এনে সর্ব্বথা, সংহতি-কাজ করবি, নইলে ব্যর্থ হবে দক্ষতা । ৬০।
কার্য্যে কৃতী হ'তে হ'লেই প্রত্যয়াবেগ ফাঁপিয়ে তোল, করার সাথে চলবি নিয়ে চিত্ত-চোরা বৈধী বোল । ৬১।
চরৎস্নায়ুর সৎ বেগেতে দিসনে বাধা মিইয়ে যেতে, কাজে সেটা ফুটিয়ে তুলিস্ চাসই যদি স্ফূর্ত্তি পেতে । ৬২।
স্বল্প সময়ে সাশ্রয়েতে
সুন্দরে সারলে কাজ,
নাচবে সুফল নূপুর-পায়ে
ধ'রে কতই সাজ। ৬৩।
যতেক বাধা আসতে পারে
চলার পথে কৰ্ম্মস্থানে,
আগেই ভেবে করবি নিরোধ
চলবি অবাধ ইষ্টীপ্রাণে। ৬৪।
যে-সময়ে করলে যা'-যা'
কর্ম্মে সুফল পায়,
সময়-মাফিক না ক'রেও কি
তাহাই পাওয়া যায় ? ৬৫।
যে-কাজ করতে যা'-যা' লাগে
কর্ না জোগাড় সে-সব আগে,
পরে-পরে করবি তাহাই
দেখবি কাজে নাই বালাই। ৬৬।
কিসের তরে করিস্ কী তুই
নজর রেখে সেই দিকে,
সময়-মাফিক গুছিয়ে নে কাজ
হারাস নাকো মূলটিকে। ৬৭।
যে-ধারণায় হ'বি পাকা
আনুষঙ্গিক তা'র,
বিছিয়ে নিয়ে ক্রমান্বয়ে
করবি সমাহার। ৬৮।
ভাবছ তুমি করবে যে-কাজ
ক্রিয়াগুলি তা'র,
সময়মত করবে ত্বরিত
পাবেই অধিকার। ৬৯।
যত পারিস্ একটি ধাঁজে
কাজের ক্রমটি সাজিয়ে যাবি,
ঐ রকমের যোগফলেতেই
সুফলটি তুই ত্বরিত পাবি। ৭০।
চাহিদা-মাফিক আগ্রহ যা'র
কাজে-কর্ম্মে ফোটে,
পাওয়ার মুকুট মাথায় প'রে
আনন্দে জয় লোটে। ৭১।
যাহার যেটি উপযোগী
দানে যদি সে পায় তাহা,
তবেই জানিস্ পাবে সুফল
মুক্ত হবে রুদ্ধ রাহা। ৭২।
পাওয়াটাকে উপচে যেমন
দেওয়া ওঠে ফুলে,
উৎসর্গটি উন্নতিকে
তেমনি ধরে তুলে। ৭৩।
যতেক বাধা ব্যর্থ ক'রে
শতেক দিকে এগিয়ে চল,
কৃতকার্য্য হ'লেই পাবি
আরোর পথে অধিক বল। ৭৪
যে-ব্যাপারে যা'-যা' লাগে
আগেই জোগাড় রাখ,
ব্যাপার এলেই সমাধানে
হ'বি ধন্যভাক। ৭৫।
ইষ্টার্থটি অটুট রেখে
আহরণে অমোঘ আয়ে,
করবি খরচ এমনি যা'তে
বৃদ্ধি আনে দীপ্তি পায়ে। ৭৬।
সবাইকে তুই বাসিস্ ভাল
ইষ্টনেশায় রেখে প্রাণ,
আস্থাটি তোর সুস্থ টানে
কৃতীর মুকুট করবে দান। ৭৭।
প্রশংসাতে তুষ্টি আনে
শক্তি বাড়ে হৃদয়ের,
কৰ্ম্মপটু দক্ষ করে
কৃতিত্বে হয় অঢেল ঢের। ৭৮।
দ্বন্দ্ব-দ্বিধা ছিন্ন ক'রে
প্রত্যয়েতে দৃঢ় হ'বি,
ভর-দুনিয়ায় লাগবে রে তাক
দেখে তোরই মুখর ছবি। ৭৯।
ত্বরাশীল তীক্ষ্ণবোধ
ক্ষিপ্র সমাধান,
প্রাণস্পর্শী সদালাপ
কৃতিত্ব বিধান। ৮০।
সাশ্রয়ী সুন্দর কর্ম্মনিপুণ আয়ত্ত বিদ্যার আসল গুণ । ৮১ ।
কর্ম্মের ত্রুটি যেমনি যত
সিদ্ধিও কম তেমনি তত। ৮২।
ক্ষিপ্রবেগে জোগাড় ক'রে
যা' করবি তা' কর্ দ্রুত,
এই না ক'রে নামলে কাজে
শঙ্কা-ধমক পাবি তত। ৮৩।
চিন্তা-মাফিক কাজ যেখানে
সুরু থেকে বইতে রয়,
অবস্থানও তেমনি চলে
ঘোষে সুফল সিদ্ধি জয়। ৮৪।
কী পেতে কী করতে হবে
খুঁজে-চিন্তে-চেয়ে,
নিখুঁতভাবে তা'ই করে যা'
যাবি সুফল পেয়ে। ৮৫।
সৎ জেনে তুই করবি ব'লে
ধরবি যা' তা' করবি শেষ,
না ক'রে তা' হেলা-ফেলায়
ব্যর্থ প্রাণে বইবি ক্লেশ। ৮৬।
আগুন রাগে করবি রে কাজ
বজ্রবেগে করবি শেষ,
দক্ষনিপুণ এমনি করায়
শক্তিপ্রাণে জাগবে দেশ। ৮৭।
প্রকৃতিরই ধৰ্ম্ম এমন
শূন্য যা' তা' ভরিয়ে দেওয়া,
অবাধ-উজার ইষ্টার্থে হ'
পদে পদে ফলবে মেওয়া। ৮৮।
ঝোঁক খুঁজে তুই বের ক'রে নে
কোন দিকে তোর নেশা,
দেখে-শুনে সেই পথে চল
সেইটেই তোর পেশা। ৮৯।
সুচতুর সুকৌশল
তড়িৎ-তৎপর,
দূরদৃষ্টি ব্যবস্থিতি
সিদ্ধি-সহচর। ৯০।
চাওয়া-মাফিক হওয়া হ'লেই
পাওয়া তা'কেই বলে,
হওয়া এড়িয়ে পাওয়ার চাওয়ায়
বিড়ম্বনাই ফলে। ৯১।
দৈবী বিপাক প্রবল যবে
পুরুষকারে দিস্ রে জোর,
পুরুষকারের দক্ষ পূরণ
কমিয়ে দেবে দৈব তোড়। ৯২।
পথ হবে তোর পাওয়ার দিকে
পথটি কিন্তু প্রাপ্য নয়,
সেই পথই পথ তোর কাছেতে
প্রাপ্য যা'তে সহজ হয়। ৯৩।
যা'তেই তুমি নিয়োজিত
বলছ করছ যা',
ভগবানের দৃষ্টি তা'তেই
ভাব বা চিন্তায় না। ৯৪।
প্রাপ্য যদি নাই পেলি তুই
অনুষ্ঠানে লাভ কী তোর,
এমনি বেকুব হরবোলা তুই
পথ হ'ল তোর প্রাপ্য-চোর। ৯৫।
মত-মাথাতে একটি হ'য়ে
দু'টি লোকও ইষ্টনেশায়,
চলে যদি দক্ষতালে
রুখবে কে তা'য় ভরদুনিয়ায়। ৯৬।
আচার-নিয়ম-মানবতায়
পূরণকারী যে যত রয়,
ক্রমান্বয়েই সেই হিসাবে
ছোট-বড় সে তত হয়। ৯৭।