অনুশ্রুতির ১ম খন্ডে “দাম্পত্য জীবন” শিরোনামে পৃষ্ঠা ১০১ – ১০৬ পর্যন্ত মোট ২৬ টি বাণী রয়েছে। বাণীসমূহ নিচে দেয়া হলো।
বৈশিষ্ট্য উদ্দাম যেথা
অবাধ আদান,
উদ্বুদ্ধ আদর্শানতি,
স্ত্রী-পুরুষে একই রতি,
ইষ্ট উদ্বোধনে করে
উভে আত্মদান;
এমন স্থলেতে মূর্ত্ত
হয় ভগবান,
অমরণ নীতি-পথে
করে আগুয়ান । ১।
সজীব যেমন যৌন-জীবন
সুন্দর সদাচারী,
দীপ্ত কৃতী তেমনই সে-জন
আয়ুর অধিকারী। ২।
পতিপ্রাণা দক্ষা নারীর
সেবাসুন্দর তৃপ্তি-চলন,
পুরুষ-বুকে দীপ্তি আনে
বৃদ্ধিতে দেয় উপঢৌকন । ৩।
তৃষ্ণাভরা তৃপ্তবুকে
স্বামীর প্রতি অনুরাগ,
এমন নারীর সহবাসে
বর্দ্ধনা পায় পুণ্য ফাগ । ৪।
শতেক কাজের সমাধানেও
স্বামীচর্য্যায় হয় না বাধা,
পতিপ্রাণা নারীজীবনে
দেখবি কেমন এইটি সাধা। ৫।
লক্ষ কাজে ব্যস্ত থেকেও
স্বামী সোহাগভরে
কোন্ ফাঁকেতে সময় ক'রে
স্বামীর তোয়াজ করে,
আলোচনায় সৎকথাটি
উদ্দীপনী রতি,
এমনি মেয়েই লভে নিশ্চয়
শ্রেষ্ঠ সুসন্ততি। ৬।
অযুত কাজের মাঝ থেকেও
আগ্রহেরই বলে
উদ্দীপনী আবেগ নিয়ে
বুদ্ধি-সুকৌশলে,
ফিকির ক'রে সোহাগ-স্তুতির
সদালাপী উদ্দীপনা
আনে স্বামীর হৃদয় প্লাবি'
সৎ রতিটির সু-এষণা;
শতেক বাধা নিরাশ ক'রে
দীপন রাগে হ'লে রত,
জীবন-জয়ে বাড়ে স্বামী
সুপুত্র হয় বিধিমত । ৭।
স্বামীর ভাল করতে গিয়ে
স্ত্রীর সতীত্ব জাগে,
ইষ্টস্বার্থ-প্রতিষ্ঠাতেই
পুরুষ সৎ-এ থাকে। ৮।
নিজ সত্তার প্রতীক পুরুষ
সেই তো নারীর স্বামী,
তা'রই জীবন-সাথী নারী
ধর্ম্ম-অনুগামী। ৯।
ভক্তি-সেবায় আত্মত্যাগ
স্বামী-ধৰ্ম্মার শ্রেষ্ঠ যাগ। ১০।
স্বামী-স্বার্থে অটুটগতি
অবশ মনটি নয়,
ফন্দি-ফিকির ঐ তালেতেই
স্বামী উদ্দীপয়;
সদাচারে অটুট নিষ্ঠা
ইষ্টে প্রীতি যা'র,
জীবন-কাজে ধৰ্ম্মনীতি
প্রীণন-ব্যবহার;
সদালাপী স্বামী-আনতি
উছল-প্রাণা যেই;
দীর্ঘজীবন রত্নগর্ভা
জানিস্ নারী সেই। ১১।
সব প্রবৃত্তি ভেদ ক'রে টান
স্বামীতে যেই ধরবে,
সতীলোকের প্রথম ধাপে
তখনই তুমি চড়বে । ১২।
প্রয়োজন-পূরণে স্বামীতে টান
ব্যক্তিত্বে টান নয়,
এমন প্রিয়ার প্রিয় যিনি
হবেই তাহার ক্ষয়। ১৩।
প্রবৃত্তি ইন্ধন ক'রে
ইষ্টে স্বামীকে বয় না,
ঠিক জানিস্ সে ডাইনীর
সবই খাবার বায়না! ১৪।
স্বামীর ব্যথায় বুক ফাটে না
চম্কে নাকো মন,
হৃদয় উজাড় ক'রে তাঁ'তে
তাঁরই স্বার্থ প্রতিষ্ঠাতে,
বুক দিয়ে যে-করে নাকো
স্বামীর সম্পূরণ,
এমন নারী যাহার ঘরে
আপদ তা'র কি কভু সরে?
চলেই চলে সে ছারখারে
হুতাশে ডোবে মন । ১৫।
পুরুষ মাগে নারীর প্রণয়
নারী মাগে টাকা,
এমনি ক'রেই চলতি জগৎ
বাঁচাবাড়ায় ফাঁকা। ১৬।
স্ত্রীর কথায় যে ওঠে-বসে
রঙ্গিল চক্ষু যা'র,
খুঁজে-পেতে মিলিয়ে বুঝে
দেখে না কিছু আর,
মেয়ে-মুখো নেংটে পুরুষ
মেয়েলী ফেনচাটা,
আত্মঠগী বেবুঝ পাগল
কপালে মুড়ো ঝাঁটা । ১৭।
যোগ্যগম্যা নারীকেও যদি
ফুসলিয়ে বা বলাৎকারে
অনিচ্ছায় তা'র বৃত্তি-টানে
স্পর্শন-ধর্ষণ করে তা'রে;
স্নায়ুতন্ত্র বিকার-বশে
নিরেট শিথিল অবশতায়,
ধ্বংস ক'রে জাত-সমাজে
জীবন কাটায় পাপ-লালসায়। ১৮।
স্ত্রী যদি না দেখায় ঝোঁক
কামকামনার উচ্ছলায়,
কামভাবেতে রাখিস্ না মন
র'বেই স্নায়ু সচ্ছলায়। ১৯।
স্ত্রীর আকূতি দীপ্ত করে
আদর-অবশ অনুরাগে,
উপগতির সেই তো সময়,
নয়তো রোগে ধরবে বাগে। ২০।
স্ত্রী চাহিদায় সহবাস
করলে শক্তির কমই হ্রাস;
পুরুষ ছোটে নারীর পিছে
খোয়ায় শক্তি মেধা মিছে। ২১।
পুরুষ ধায় তা'র ইষ্টপানে
নিয়ে পড়শী জগৎখানা,
স্ত্রীও তেমনি স্বামী-বহনে
এক আদর্শে চলায়মানা;
এ যেথায় না হয়—
আবোল-তাবোল ঘূর্ণী ঘোরে
হ'তেই থাকে ক্ষয়। ২২।
স্ত্রী যদি তোর দোষই দেখে
অবজ্ঞাতে আদর জানায়,
দূরে থাকিস্ তা' ছেড়ে তুই
পড়বি নইলে দুর্দ্দশায় । ২৩।
লাখ জ্বালাতন হ'স্ না রে তুই
স্ত্রীর অনুচিত তর্জনায়,
তুষ্ট তা'তে নাই বা র'লি
থাকিস্ না তা'র তোয়াক্কায় । ২৪।
স্বামীর প্রতি যেমনি রতি
তেমনি নারীর মতিগতি । ২৫।
সমীহহীন স্বামী-সঙ্গ
শ্রদ্ধহৃদয় নয়,
প্রবৃত্তিতেই স্বামিত্ব যা'র
ছেলেও তেমনি হয়। ২৬।