মনোবিজ্ঞান প্রসঙ্গে অনুশ্রুতি ৩য় খন্ড

অনুশ্রুতির ৩য় খন্ডে “মনোবিজ্ঞান” শিরোনামে পৃষ্ঠা ২৪৫ – ২৫৯ পর্যন্ত মোট ৭২ টি বাণী রয়েছে।
নিচে বাণীসমূহ দেয়া হলো।

স্বার্থনেশা যার যেমন
বোধ-ব্যবহারও ভোঁতা তেমন। ১।
চিন্তাপাঠই ব্যবসা যা'দের
জাবড়-জঙ্গলা চিত্ত হয়,
বাজে যা’-সব কুড়িয়ে নিয়ে
আত্মমোহে মত্ত রয়। ২।
চিন্তনাটির মূর্চ্ছনা তোর
ঊৰ্জ্জনাতে চলতে থাক্‌,
নিষ্ঠানিটোল কৃতিচৰ্য্যায়
সার্থকতায় ডাক্ রে ডাক্। ৩।
আগল-পাগল চিন্তাধারায়
অর্থান্বয়ের চেষ্টা দেখো,
অর্থ কিছু পাও যদি তা'
সার্থকতায় তুলে রেখো। ৪।
আলোচনী নিবেশ নিয়ে
বিন্যাস কর্ না তা' মাথায়,
যখন যেটার প্রয়োজন
সেটাই যেন স্মৃতি পায়। ৫।
বাস্তবতার যুক্তি নিয়ে
শুক্তি-ফোটা মুক্তাগুলি,
মূৰ্ত্তি দিয়ে ব্যক্তিত্বটায়
এখনও নে সে-সব তুলি'। ৬।
ভূত দেখিস্ তুই কোথায় ?
তোর অন্তরেরই উৎক্ষেপণা
মূর্ত্তি লভে যেথায়। ৭।
স্বপনটাকেও ছেড়ে দিও না,
তথ্য কিছু পাও কি দেখো,
তথ্যটাকে নিংড়ে তুমি
তত্ত্বটাকে খুঁটে রেখো। ৮।
অনুস্মৃতি কৃতি আনে
স্রোতদীপ্ত ধারা নিয়ে,
সার্থকতায় ঐ কৃতিকে
প্রতিষ্ঠা করে হৃদয় দিয়ে। ৯।
দেহবিধানের মূল মস্তিষ্ক
সংস্কার যা' তা'তেই থাকে,
ঐ সংস্কার করে নিয়ন্ত্রণ
বিধান-সহ ব্যক্তিটাকে। ১০।
যে-অঙ্গের যে-বিকৃতি
মনেও তেমনি প্রায়ই,
বিকৃতিরই বিপাক চলন
অন্তরেও তা' ধায়ই। ১১।
স্নায়ুমণ্ডল বিক্ষুব্ধ যা'র
বিশ্বস্ত সে কমই হয়,
সত্তা-সত্ত্ব দুৰ্ব্বল ব'লে
বিকৃতি তা'র পিছুই ধায়। ১২।
অসম্মিলনী সংশ্লেষণে
রয় না জীবনে সাম্য,
বৃত্তি তাহাকে যে-লোভে ঘোরায়
তাই হয় তা'র কাম্য। ১৩।
সাম্যে স্থিত নিজে থাকিস্
হো'স্ না কিন্তু সাম্যহারা,
অহং-খোঁচায় কে কী করে—
দেখেই বুঝবি, কা'র কি ধারা। ১৪।
ক্রোধ যেখানে বোধ আনে তোর
শুভ কিন্তু সেইখানে,
অনিষ্টকে ইষ্ট ক'রে
কুশলদিকে তাই টানে। ১৫।
কুশল-কৌশল সন্দীপনায়
বোধ-ধৃতি না র'লে—
বেকুব চলন বিফল ক'রে
অন্ধ স্বার্থে দেয় ফেলে। ১৬।
তুষ্টি-রুষ্টি তরল ধারায়
ঢেউয়ের মত চলছে যা'র,
অন্তরে তার বিষাক্ত কূট
দীর্ণ করে স্বস্তিদ্বার। ১৭।
এখনই যে তুষ্ট হ'ল
রুষ্ট হ'ল পরক্ষণেই—
অব্যবস্থ এমন চিত্তের
তুষ্টিও আপদ্ আনেই। ১৮।
কুপ্রবৃত্তি অসৎ যা’রা—
দিসনে ধাক্কা কঠোরভাবে,
ইঙ্গিতে এমন লোভ দেখাবি
মনটা যেন চলে সে চাপে। ১৯।
দুষ্ট নেশা ছিল কি না
ব্যতিক্রমে যা' নিয়ে যায়,—
খতিয়ে সেটা দেখ্ না বুঝে
মনের আবেগ কেন কোথায় ! ২০।
গুণগরিমা নিজের যে-সব
গেয়ে বেড়ায় নিশিদিন,
এমন দেখলে বুঝে রাখিস্—
অন্তরে সে বড়ই দীন। ২১।
হামবড়াই প্রশংসাবাদ
বাহাদুরি নিজের সব,
আত্মখ্যাতি এমনি ক'রেই
ভাবে বাড়ায় খ্যাতি-বিভব। ২২।
হামবড়াই করাই স্বভাব যা'দের
আত্মখ্যাতি অহরহ,
বোঝে না তায়—অখ্যাতি বাড়ে
হীনতা হয় দুৰ্ব্বিষহ। ২৩।
অহং যাহার নয়কো শিষ্ট —
আনুগত্য কৃতিস্রোতা,
পরাক্রম কি তা'র হয় তেজাল ?
'হাঁ'-এর দলে 'হাঁ' বলে সে
'না'-এর দলে না'- কথা। ২৪।
সন্দেহশীল মতি তোমার
আনবে কৃতির চপলতা,
চপল কৃতি ডাকবে বিপদ
নিরোধ ক'রে সফলতা। ২৫।
ঢিল যেখানে দেখছ
কাজে টালবাহানা করছে,
স্বার্থ-পাঁকাল না-করাটা
অন্তরে কিন্তু পচছে। ২৬।
সক্রিয় হ'য়ে করবি না যা'
আসবে ভ্রান্তি মন্থর পায়ে,
মেধাস্মৃতির অপসারণে
মুশকিলে পড়বি, ঠেকবি দায়ে। ২৭।
ভ্রান্ত চলায় অভ্যস্ত যা'রা
ভ্রান্তিকেই তা'রা ভালবাসে,
বাস্তব কিছু করলে বললে
বোধ তা'দের হয় হারাদিশে। ২৮।
অনেক ধরে, অনেক করে,
নাই সঙ্গতি-জ্ঞান,
নিষ্ঠানিপুণ নয়কো কাজে
অন্যদিকে টান। ২৯।
কে কেমনটা নিচ্ছে খুঁটে
দিচ্ছে তা'তে কেমন জোর—
দেখে বুঝো অন্তরে তা'র
কী চাহিদার কেমন তোড়। ৩০।
অন্তরে লোভ লুকিয়ে থাকে
না-দিয়ে নেওয়ার অছিলায়,
সেইটি কিন্তু বিকাশ পেয়ে
করেই নষ্ট সুবিধায়। ৩১।
উদ্দেশ্য-আকাঙ্ক্ষা লুকিয়ে যখন
ভাঁওতা দিয়ে চাহিদা বাগাও,
অন্যকে যতই দোষো না কেন
নিজের দুঃখই নিজে বাড়াও। ৩২।
তোমার কাছে যদি কেউ আসে—
দেখে নিও স্বার্থ-নেশা,
স্বার্থলোভটি দেখে বুঝলে—
নেই তোমাতে ভালবাসা
তোমার জন্য আসে নাই সে
নাই তোমাতে ভালবাসা,
প্রীতিচৰ্য্যা নাই যেখানে—
বোধ ফোটে না, ফোটে না দিশা ;
স্বার্থলোভী তা'রা কিন্তু
মুচড়িয়ে তোমায় স্বার্থেই চায়,
স্বার্থ-ভাঁওতার নানান রূপে
দিতে থাকে পরিচয় ;
অমনতর লোক দিয়ে তোমার
নষ্ট ছাড়া হবে না কিছু
এগিয়ে যাওয়ার পথটি রুখে
স্বার্থলোভেই চলবে পিছু। ৩৩।
থাকার ব্যবস্থা করবে নাকো,
করছ ধৃতি ম্রিয়মাণ,
স্মৃতি-চিত্তের বেগার খেটে
হ’চ্ছ নাকি ক্ষীয়মাণ ? ৩৪।
বোধ থাকে তো সাবধান হও
সম্ভাব্যতার অবধানে,
অসাবধানী গোঁয়ার্তুমি
অনেক আপদ আনেই আনে। ৩৫।
যে ভাববৃত্তি অন্তরে তোর
উছল-উজল কর্ তা'কে,
চলাফেরায় বুঝা-সুঝায়
ধরতে পারিস্ একটি ডাকে। ৩৬।
কী ভাবভঙ্গীতে কইলে কথা
কেমন উত্তর দিবি কী !
স্বস্তিভরা তৃপ্তি দিয়ে
করবি স্বস্থ খাটিয়ে ধী। ৩৭।
ভাব মানে কিন্তু হওয়ার আবেগ,
বৃত্তি মানে ব'ৰ্ত্তে থাকা,
ঐ বর্ত্তনার উৎসারণার
ধৰ্ম্মই তা'কে ধ'রে রাখা। ৩৮।
ভাব মানেই হওয়ার আবেগ
অন্তর-বাহিরে যা'র প্রকাশ,
গোড়ায় চাহিদা যেমনতর
তেমনতরই তা'র প্রকাশ। ৩৯।
ভাব ব্যক্ত হয় যেথায় যেমন
বোধ-কৃতিও তেমনি,
ব্যতিক্রমী বোধকৃতি
আনেই নষ্ট সেমনি। ৪০।
ভাব-অনুগ চলন যখন
কৃতি-তপে বিকাশ পেয়ে
চলতে থাকে নিরন্তরে—
তনুও গড়ে সে ভাব বেয়ে। ৪১।
যেমন চিন্তার ভাবুকতায়
যেমন চল, বল, কর,
ভাবও তোমার তেমনতর
বোধ-বিবেকও তেমনি দড়। ৪২।
ভাববৃত্তিকে মূঢ় ক'রে
প্রভাবিত করবে যেমন,
ব্যক্তিত্বটাও সেই রকমে
অভিভূত হবে তেমন ;
এই মুঢ়ত্বের মোহে তুমি
যেমনতরই কর যা',
নয়কো সেটা শিষ্ট-শুভ—
সবই কিন্তু মুহ্যতা। ৪৩।
ভাবিস্ কেন, ধুঁকিস্ কেন,
ঘাবড়েই বা তুই যাবি কী ?
ইষ্টনিষ্ঠ কৃতিচৰ্য্যায়
চল্ হ'য়ে তুই বিবেকী। ৪৪।
সজাগ থাক মনে-মাথায়
সজাগ রেখে চিন্তা-চলন,
ধীইয়ে নিয়ে মন দিয়ে কর
সময়-মত রাখতে স্মরণ। ৪৫।
ব্যক্তিত্ব তোর যেমনই হো'ক্‌ 
কৃতিসুন্দর রাখিস্ ধী,
ধৃতিচৰ্য্যায় অটুট হ'য়ে
পালিস্ জীবন-পরিধি। ৪৬।
জ্ঞান কেমন তা' জানতে হ'লেই
বোধ-স্বভাবকে জানতে হয়,
বোধ ও কৃতির অনুরঞ্জনা
বুঝলে স্বভাব জানা যায়। ৪৭।
যে-ভাবেতে যে-ই না থাকুক— 
ইষ্টনিষ্ঠ সাবুদ চলা,
সেই ভাবই তো ধ'রে থাকে
বোধ-কৃতি সু-উতলা। ৪৮।
বোধকৃতি নাই কিন্তু
ভাবের কথা বেদম কয়,
সব ভাবেরই অভাব তাহার
কোন ভাবেই শিষ্ট নয়। ৪৯।
ভাবের নেশা বোধকৃতির
ক'রেই থাকে আমদানী,
সেটাই কিন্তু সঞ্চার করে
সব হৃদয়ে রপ্তানি। ৫০।
ভালমন্দের দোলনবিভায়
নিখুঁত-নিটোল দৃষ্টি টেনে,
ভালয় কেমন মন্দ আছে
মন্দে ভাল কী রকমে—
বুঝেসুঝে ধী-দৃষ্টিতে
ভালর করিস্ ব্যবহার,
নিখুঁত টানে আসবে ভাল
বীর্য্য নিয়ে সব তাহার ;
দোলনবিভা ঠিকই জানিস্
স্মৃতি-চৰ্য্যায় সুষ্ঠু হয়,
সৎ-শুভতে রতির মনন
কৃতিযোগে ধন্য হয়। ৫১।
অনেক লোকের অনেক বুদ্ধি
শুধরে নেওয়া বড়ই দায়,
যেমন বোধে কাজ সফল হয়
নজর রেখে চলিস্ তা'য়। ৫২।
ভাবিস্-বলিস্ যতই কিছু
না-করলে কিন্তু হবে না,
বোধ-অভ্যাসে গাঁথলে সত্তায়
সিদ্ধ হবে সাধনা। ৫৩।
করবে যেমন চলবে তেমন
নিষ্ঠা-অনুরাগে,
ভাববৃত্তিও রঙিল হ'য়ে
চলবে তেমনি বাগে। ৫৪।
চৰ্য্যা-ধৃতি সব যা’-কিছু
অনুকম্পী হৃদয় নিয়ে,
স্বার্থনেশার লোভ না ক'রে
বোধবিবেকে নে বিনিয়ে। ৫৫।
দক্ষতা যদি নাই থাকে রে
বহুদর্শী বিবেক নিয়ে,
কেমন ক'রে চলবে বল
আপদ-বিপদ পাড়ি দিয়ে ? ৫৬।
ভালমন্দের নিশানা যা' 
বুঝেসুঝে ঠিক রাখিস্,
কাজের বেলায় রকম দেখে
তেমনতরই ধরিস্-করিস্ । ৫৭।
নিষ্ঠা যা'তে যেমন ধাঁজের
লোকও তুমি তেমনি,
চালচলনও তেমনতর
কাজেও প্রায়ই সেমনি। ৫৮।
নিষ্ঠানিপুণ ভাব-ঊৰ্জ্জনা
ভাঁটায় চলতে লাগ্‌ল যত,
শরীর, মন ও ধী-শৃঙ্খলাও
কমতে কমতে চলল তত। ৫৯।
কৃতিবিহীন চিন্তাতেও কিন্তু
অনেক মানুষ ব্যস্ত রয়,
সে ব্যস্ততা নিষ্পাদনে
ফলপ্রসূ কিন্তু নয়। ৬০।
কৃতি-সম্বেগ নিথর হ’লে
আনুগত্যও হবে অবশ,
অবশ আনুগত্য জেনো—
নিষ্ঠাকেও করবে বিবশ ;
নিষ্ঠা যেমনি বিবশ হবে
বুঝটিও তোর হবে নিথর,
সঙ্গ-কথা-আলোচনা
হবে দোদুল নিরন্তর। ৬১।
প্রেষ্ঠরাগ-কৃতিচর্য্যায়
কেমন তুমি লিপ্ত—
ভর্ৎসনা বা তিরস্কারে
হও-ই যেমন ক্ষিপ্ত। ৬২।
অনুগতির অর্থ যেমন
কৃতিও হয় তেমনতরই,
কথাবার্ত্তা-চালচলনে
তা'তেও থাকে তেমনি দড়ই। ৬৩।
যে-চিন্তাতে যেমন নিষ্ঠা,
আনুগত্য ও কৃতি-সম্বেগ,
তেমনতরই কৃতার্থও হয়
নিষ্পাদনে যেমন আবেগ। ৬৪।
আনুগত্য-কৃতি তোমার
যেমন ধরে ঊর্জ্জনা,
সৎপ্রবৃত্তিও হবে তেমনি
তেমনি হবে বর্দ্ধনা। ৬৫।
জীবন-হানির ভীতি যেমন
সুস্থি-ইচ্ছাও তেমনি,
নিষ্ঠাপূত প্রীতি যেথায়—
প্রিয়'র তরেও সেমনি। ৬৬।
যেথা হ'তে যেই না আসুক
বলুক তোমায় যা'ই না কথা,
নিষ্ঠা তোমার দুর্ব্বল হ'লে
করবে স্বীকার তা'দের যা' তা'। ৬৭।
প্রাজ্ঞ তোরা না হো'স্ যদি
কেন কোথায় করবি কী—!
কোন্ কথার কী উত্তর—
জোগান পাবে কি তোদের ধী ? ৬৮।
অসম্ভব ব'লে দেখিস্-শুনিস্
যেমন যা'ই হো'ক এই দুনিয়ায়,
শুভ'র পথে যত্ন করিস্
সম্ভব ক'রে তুলতে তায় ;
বুঝদীপনার বোধি-চর্য্যায়
তেষ্টাভরা চেষ্টা নিয়ে
হয়তো তাহা হ'তেও পারে
দেখ্ না ক'রে আবেগ দিয়ে। ৬৯।
দেখা-বোঝা-ভাবার মাধ্যমে
যেমন সঙ্গতি তোমার হয়,
তা' দিয়ে কিছু করতে গেলেই
কল্পনারই প্রয়োজন হয়।
মানস-কল্পিত সেগুলিকে
বাস্তবে ক'রে মূর্ত্তিমান—
তবেই সেটা বাস্তব হয়,
নয়তো বাস্তবের অন্তর্দ্ধান। ৭০।
নিষ্ঠানিপুণ রাগ-পরাক্রম—
বোধ-বিবেকটি নিয়ে,
দাঁড়ায় যদি সঙ্গতিশীল
তাৎপৰ্য্যটি ব'য়ে ;
সাত্বতীরই সম্বেদনায়
তৃপণদীপ্তি সহ,
জ্ঞানদীপনী ভাববোধনায় —
রুখতে পারে কেহ ? ৭১।
বোধে-ভাবে যা' আসে
বিচারণায় ঠিক রেখো তা',
সামঞ্জস্য-সংবেদনায়
সময় পেলেই ক'রো সেটা,
'কিন্তু' ব'লেই থেমে যেও না,—
ঊর্জ্জীতেজা পরাক্রমে
ধীইয়ে-ধীইয়ে যেমন পার
তেমনি কর ক্রমে-ক্রমে,
বুঝলে-সুঝলে সবই করলে
কিংবা হয়তো বুঝলে না,
শোনায়-বলায় মজলো আসর
'কিন্তু' বুলি ছাড়লে না ;
ঐ ‘কিন্তুকে' প্রশ্রয় দিলে
জন্তুত্ব তোর ছাড়বে কি ?
করার পথে পড়লো দাঁড়ি
উছল কি তোর হ'ল ধী ?
'কিন্তু' বলা ছেড়ে দিয়ে তুই
ভাবায়-করায় ভালই করিস্,
এমনি ক'রেই ক্রমে-ক্রমে
ভালর আওতায় যা' তা'ই ধরিস্;
ধৃতিপথে অমনি ক'রেই
অটুট নিষ্ঠায় চলতে হয়,
নিষ্ঠা-আনুগত্য-কৃতি
ব্যক্তিত্বটার আনেই জয়। ৭২।

Loading