সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
“উত্তেজিত মস্তিষ্ক ও বৃথা আড়ম্বরযুক্ত চিন্তা—দুইটিই অসিদ্ধির লক্ষণ।“
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
রামানন্দদা—binding-এর কাজ দিলেন, কাজ করতে যেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়লাম।
শ্রীশ্রীবড়দা—কেন উত্তেজিত হ’লে সেটা বলবে তো!—কঠিন কথা ঠাকুর কত সহজভাবে বলেছেন। কোন কাজ করবার চেষ্টা অসিদ্ধ হয় কেমন করে? উত্তেজিত মস্তিষ্ক ও বৃথা আড়ম্বরযুক্ত চিন্তা এলেই অমনটা হয়। তোমায় পাঁচশ কাগজ ‘আলোচনার’ জন্য ভাঁজ করতে হবে। তখন ভাবলে এতগুলো কাগজ ভাঁজ করব, একটু পেচ্ছাপ করে নিই, তারপর একটা বিড়ি খেয়ে নিলে। এর মধ্যে দেখলে আর একজন ২০০ ভাঁজ করে ফেলেছে। তুমি তাড়াতাড়ি করে উল্টো কাজ করলে। পর্য্যবেক্ষণকারী তখন চটে গেল। তাতে সুন্দর কাজ হয় না।
আর আড়ম্বরযুক্ত চিন্তা হ’ল—ছোট একটা Parts বানাবো, এই ভাবে হাজার হাজার Parts তৈরি করে বিক্রি করব। ও না ভেবে যদি একটা একটা করে শেষ করি তবেই সবটা সম্ভব হবে। এক মিস্ত্রি আমাদের ওখানে ছিল। Machine এর সূঁচ ভেঙ্গে গেলে সে ঐ সূঁচ জোড়া দিত। তা না করে মিস্ত্রি ভাবতে লাগল এই সূঁচ তৈরী করবে। Planই করতে থাকল, ঐ পরিকল্পনাই তার চলছে।
হয়তো ছেলেকে ওষুধ খাওয়াতে হবে। হৈ-চৈ করে শেষে ওষুধের গ্লাসই ভেঙ্গে ফেলল। আমাদের চক্রপানিদা তো সেই পাবনা থেকে সৌরজগতের Machine তৈরি করছে। তা এখনও কার্য্যকরী হ’লো না।
[‘যামিনীকান্ত রায়চৌধুরীর দিনলিপি/তাং-২৪/৫/১৯৭৫ ইং ]
[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ১৭৯]