যিনি কোনও প্রকারে …. হবে।-ব্যাখ্যা

সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:

যিনি কোনও প্রকারে কাহাকেও দুঃখ দেন না, অথচ অসৎ-এরও প্রশ্রয় দেন না, তাঁরই অনুসরণ কর, মঙ্গলের অধিকারী হবেই হবে।

পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :

শ্রীশ্রীপিতৃদেব আলোচনা করতে বললেন নিত্যানন্দ মণ্ডলকে।

নিত্যানন্দদা—তিনি কাউকে দুঃখ দেন না। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ জীবনে চলতে গিয়ে প্রবৃত্তির প্ররোচনায় পড়ে যাই, তার ফলে দুঃখ পাই। প্রবৃত্তি অভিভূতির দরুণ মানুষকে দুঃখ, কষ্ট, রোগ-শোক ইত্যাদি ঘিরে ধরে।

অসৎ—অর্থাৎ অসাধু, মন্দ, খারাপ, বদ।

প্রার্থনা করি। সময় মত করি না। ইষ্টভূতি করি—তিরিশ দিনের দিন পাঠাই না। এটাই খারাপ। শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন—

"যেথায় থাকিস হ'স্‌ না বেহুঁস
           করতে সন্ধ্যা প্রার্থনা। 
হবিই তাতে কর্ম্ম নিপুণ
           শক্তি পাবে বর্দ্ধনা।” 

আমি শ্রীশ্রীঠাকুরের আদেশ মেনে চলতে চাই। ভাল হতে চাই। তাই প্রার্থনা যখন করি, সময় মত করি। সময় মত করব। সময় মত করলে তার সুফল পাব।

আমরা প্রতি প্রত্যেকে মঙ্গলের অধিকারী হতে চাই। অথচ মঙ্গলের পথে চলি না। মঙ্গল কি? তা কিভাবে আসবে!

মঙ্গল বা কল্যাণের মূর্ত্ত প্রতীক হলেন ইষ্ট । তাঁকে যদি ঠিক ঠিক অনুসরণ করি, তাঁর নির্দ্দেশিত পথে চলি তবেই প্রতি প্রত্যেকে মঙ্গলের অধিকারী হব।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব গুরুকিঙ্করদাকে জিজ্ঞাসা করলেন—কি, ঠিক আছে?

গুরুকিঙ্করদা—আজ্ঞে, বোঝা যাচ্ছে। তবে অগোছাল ভাবে বলল। আর একটু ঠিকমত গুছিয়ে বললে আরও সুন্দর হত।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—ও যে চেষ্টা করেছে এবং এতখানি পেরেছে তাতে আমি খুশী।

[তাঁর সান্নিধ্যে /তাং-১৬/৪/৭৪ ইং]

[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ১৪৬-১৪৭]