সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
গভীর বিশ্বাসে সবই হ’তে পারে। বিশ্বাস কর, —সাবধান ! অহঙ্কার, অধৈৰ্য্য ও বিরক্তি না আসে—যা’ চাও তাই হবে।
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
সতীশ—এখানে বিশ্বাস বলতে জাগতিক কর্ম যা করি, সে বিশ্বাস নয়; এখানে বিশ্বাস হ’লো সৎ-এ—তা’তে সবই হ’তে পারে।
শ্যামাপদ মুখার্জী—গভীর বিশ্বাসে যা’ হয় তা’ হবে।
অজিতদা—আমার অধৈর্য্য হ’লো না, অহংকারও হ’লো না।
বসাওনদা—গাঁজার ব্যবসা করে—জেল খাটে—আবার করে, শেষে লাখ-পতি হয়।
শ্রীশ্রীবড়দা—গভীর বিশ্বাস থাকলে, গভীর অনুরাগ থাকবে। গভীর বিশ্বাস থাকলে তার কতকগুলো লক্ষণ থাকবে—সেটা হলো টান, অনুরাগ। যেমন—বিল্বমঙ্গলও মনে করত, চিন্তামনি আমাকে খুব ভালোবাসে; উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে মড়া ধরে মনে করছে, চিন্তামনি কাঠ পাঠিয়েছে, সাপ ধরেছে—মনে করছে, দড়ি ঝুলিয়ে রেখেছে।
পরমেশ্বর—চিন্তামনি-ই তার উদ্ধার-কর্তা হ’য়ে গেল—তা’কেই গুরু মনে করল।
শ্রীশ্রীবড়দা—চিন্তামণিকে বিশ্বাস করতো। তার কথায় ঈশ্বরে মন গেল। ঈশ্বর প্রেমও গজালো। তখন তার পরমপ্রাপ্তি ঘটলো। কিন্তু সাধনার পথে অহঙ্কার যদি আসে, তাহলে অগ্রসর হওয়া যায় না। অহংকার পেছনে টেনে রাখে । আবার, অধৈর্য এবং বিরক্তি এলেও করা থেমে যায়। তখন সামনে না এগিয়ে পেছনে পিছলে পড়তে থাকে।
[‘যামিনীকান্ত রায়চৌধুরীর দিনলিপি/তাং-১৮/৪/৭৪ইং]
[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ১৯৬]