সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
তুমি পণ্ডিত হ’তে পার, কিন্তু যদি অবিশ্বাসী হও, তবে তুমি কলের গানের রেকর্ডের কিংবা ভাষাবাহী বলদের মত নিশ্চয়।
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
ডাঃ অন্নদা (হালদার)—যদি নিষ্ঠা না থাকে, তবে বলা হয় যা’, তা’ চরিত্রে ফোটেনা। …[তিনি একটি উদাহরণ দিলেন]
সতীশ—উদাহরণ ঠিক হ’ল না, বিশ্বাসী কথাটা আছে, example-টা খাটছে না।
শ্রীশ্রীবড়দা—সেই example-টা ও চাচ্ছে।
ডাঃ হালদার—মনে আসছে না।
শ্রীশ্রীবড়দা—এক গ্রামে একজন মহাপণ্ডিত এসেছেন। তিনি ভাগবতের কথা বলেন। ঐ গ্রামের মাঝে একটা স্রোতস্বতী নদীর এপারে ওপারে এক গোয়ালিনী দুধ যোগান দিত। সেই গোয়ালিনী খুব মন দিয়ে ভাগবত পাঠ শুনত। একদিন কথক বলছেন ঈশ্বরের প্রতি যদি ভক্তি থাকে তবে হেঁটেই নদী পার হওয়া যায়। গোয়ালিনী দেখল এত কষ্ট ক’রে লাভ কি? ভগবানের নাম করেই পার হওয়া যায়। সে ঐভাবেই পার হত। একদিন পণ্ডিত নদীর ওপারে যাবেন। গোয়ালিনী বলল—চলেন, পার হই। মেয়েটি পার হ’ল। কিন্তু পণ্ডিত আর জলেই নামতে পারল না। নিষ্ঠা-আনুগত্য-কৃতিসম্বেগ থাকলে সবই হতে পারে। তার ভিতর দিয়ে বিশ্বাস আসে। আমি ভাগবত পাঠ করেই চলি, তাতে কি হবে? আসল পথ হ’ল ঐ গোয়ালিনীর মত অকপট বিশ্বাস।
[‘যামিনীকান্ত রায়চৌধুরীর দিনলিপি/তাং-১৯/৪/৭৪]
[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ২০১]