সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
“তুমি যদি এমন শক্তি লাভ ক’রে থাক, যাতে চন্দ্র-সূৰ্য্য কক্ষচ্যুত ক’রতে পার, পৃথিবী ভেঙ্গে টুকরা-টুকরা ক’রতে পার বা সব্বাইকে ঐশ্বৰ্য্যশালী ক’রে দিতে পার, আর যদি হৃদয়ে প্রেম না থাকে, তবে তোমার কিছুই হয়নি।“
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
দাদাদের মধ্যে বিশ্বনাথ চক্রবতীকে আলোচনা করার জন্য বললেন শ্রীশ্রীপিতৃদেব।
বিশ্বনাথ বাণীটি পুনরায় পাঠ করে বললেন—আমার যত শক্তিই থাক না কেন, যদি প্রেম না থাকে তাহলে কিছুই হয় নি।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—সে কি রে, আলোচনা কর্।
বিশ্বনাথ পুনরায় আগের কথাই বলে—আমার যত শক্তিই থাক—
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—পড়, বাণীটা পড়।
বাণীটি পড়ে বিশ্বনাথ বলে—ঠাকুর এখানে বলছেন, আমার যত শক্তিই থাক না কেন—এমনকি চন্দ্র-সূর্য্য কক্ষচ্যুত করতে পারি, পৃথিবী ভেঙে টুকরা-টুকরা করতে পারি—সবাইকে এশ্বর্য্যশালী করে দিতে পারি, কিন্তু যদি হৃদয়ে প্রেম না থাকে তাহলে আমার কিছুই হয় নি।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—ঠিক বলেছিস, তবে ওটা তো লেখাই আছে।
—আজ্ঞে।
[ পিতৃদেবের চরণপ্রান্তে/তাং-৪/৮/৭৯ ইং ]
শ্রীশ্রীপিতৃদেব সতীশদা (পাল)-কে বাণীটি ব্যাখ্যা করতে বললেন।
সতীশদা—মানুষ অনেক কিছু লাভ করতে পারে, কিন্তু যদি হৃদয়ে প্রেম না থাকে তবে কিছুই হয়নি। ঠাকুর বলেছেন—প্রেমের অধিকারী হতে।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব ধৃতিদীপী বক্সীকে জিজ্ঞাসা করলেন—প্রেম কথার অর্থ কি?
ধৃতিদীপী—শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন—ভক্তির গাঢ়ত্বই প্রেম।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—সতীশদাকে জিজ্ঞাসা করলেন—তা কেমন?
সতীশদা—দুধ মেরে বা শুকিয়ে যেমন ক্ষীর হয়, ভক্তির পরিণতি তেমনি প্রেমে রূপান্তর লাভ করে।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব গুরুকিঙ্করদাকে জিজ্ঞাসা করলেন—বোঝা যাচ্ছে?
গুরুকিঙ্করদা বললেন—আজ্ঞে, বোঝা যাচ্ছে।
[তাঁর সান্নিধ্যে/তাং-১৮/৪/৭৭ ইং]