সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
তুমি যেমনতর প্রকৃত হবে, প্রকৃতি তোমায় তেমনতর উপাধি নিশ্চয় দেবেন এবং নিজের ভিতরে তেমন অধিকারও দেবেন ; ইহা নিত্য প্রত্যক্ষ ক’রছ ; তবে আর চাইবে কী? প্রাণপণে প্রকৃত হ’তে চেষ্টা কর। প’ড়ে না পাশ ক’রলে কি ইউনিভার্সিটি কাউকে উপাধি দিয়ে থাকে?
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
দুর্গেশদা—প্রশ্ন হচ্ছে—প্রকৃত কি করে হবে?
প্রভাত চক্রবর্তীদা (বর্ধমান)—প্রকৃত মানে খাঁটি, এর ভেতর কোন ভেজাল থাকলে চলবে না; ও সর্ব্বোপরি ঈশ্বরের অনুশাসনবাদ মানলেই ঠিক হবে।
শ্রীশ্রীবড়দা—প্রকৃত মানে কি? প্রকৃষ্ট রূপে জাত। প্রভাত বলছে—শুধু বল্লে হবে না, করতে হবে। ঐ জাতীয় প্রকৃত হ’তে বলছে—যাতে ভাল-চিন্তা, বলা ও করা; সৎ-চিন্তা, সৎ-কথন ও সৎ-কর্ম—এইগুলো যখন প্রকৃতিগত হয়, তখন আমি প্রকৃত হব।
দুর্গেশদা—খাঁটি বললে বোঝা কঠিন।
শ্রীশ্রীবড়দা—খাঁটি খুনি, খাঁটি চোর। খুন করতে করতে খাঁটি খুনি হ’লাম, চুরি করতে-করতে খাঁটি চোর হ’লাম; সেই রকম প্রকৃত ইষ্ট-সেবা ক’রে ক’রে প্রকৃত সেবক হ’লাম। যে রকম হ’তে চাই, তদনুপাতিক ক’রে—হওয়া চাই। ঐ রকম করতে-করতে একদিন খাঁটি হওয়া যায়।
[‘যামিনীকান্ত রায়চৌধুরীর দিনলিপি/তাং-২৯/১১/৭৩ ইং]
[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ২৫৫]