সত্যানুসরণ -এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
তুমি লাখ গল্প কর, কিন্তু প্রকৃত উন্নতি না হ’লে তুমি প্রকৃত আনন্দ কখনই লাভ ক’রতে পারবে না।
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
নিত্যানন্দদা—আমি বুঝতে পারছি না।
শ্রীশ্রীবড়দা—বার বার পড়। ধর, তুমি পরীক্ষা দিয়ে Third Division-এ পাশ করেছ। কিন্তু বলছ তুমি তিনটি বিষয়ে letter নিয়ে পাশ করেছ। লোককে গল্প ক’রছ। তাতে কি ঠিক ঠিক আনন্দ পাচ্ছ? তেমন ঠাকুরের কাছে থেকে তাঁর সেবা-পরিচর্য্যা কিছুই করনি; অথচ লোকের কাছে গল্প ক’রে বেড়াচ্ছ, আমি কত কি করেছি। জ্যোতি, সমাধি, আরো কত অনুভূতি পাচ্ছি। কপটাশয়ের মুখের কথার সঙ্গে অন্তরের ভাব বিকশিত হয় না। তাই আনন্দ পায় না।
নিত্যানন্দদা—ভাবের স্ফূর্তি হয় না।
শ্রীশ্রীবড়দা—ঐ যে কচ্ছি মুখে একথা, কিন্তু বানায়ে বানায়ে কচ্ছি। এ যে তিনটে letter পেয়ে 1st Division-এ পাশ না করে শুধু মুখে বললে—সে ভাব কি আসবে? সেই রকম সাধন ভজনের দিকে না যেয়ে বলছি অমুক দেখেছি, অমুক হয়েছে। এসব না বলে ঠাকুরের গুণগান মন প্রাণ দিয়ে যদি কর তবে লোক সব শুনতে দাঁড়িয়ে যাবে।
কে কি করল তা দেখার বিষয় নয়। অন্যে কি হলো না হলো তা’ দেখার জন্যে আমি তো Security Inspector নই। যখনই বাণী পাঠ করা হয় তখনই ভাবতে হয় আমি আর ঠাকুর। ঠাকুর আমারই জন্য বলেছেন। আমি ভালো তো জগৎ ভালো ।
[যামিনীকান্ত রায়চৌধুরীর দিনলিপি/তাং-২০/৫/৭১ ইং ]
[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ৩০, ৩১]