দোষ দেখে দুষ্ট …. না।-ব্যাখ্যা

সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:

দোষ দেখে দুষ্ট হ’য়ো না, আর তোমাতে দোষ দেখে দুষ্ট হ’য়ো না, আর তোমাতে সংলগ্ন সবাইকে দুষ্ট ক’রে তুলো না।

পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :

শ্রীবড়দা—না দেখে দুষ্ট হওয়া বা না বলে দুষ্ট হওয়া যায় কি?

সতীশ—একজন সিগারেট খেল—আমি বললাম তা’কে, সিগারেট খাওয়া ক্ষতিকর।

শ্রীশ্রীবড়দা—দোষ মানে খারাপ—যাতে ক্ষতি হয়। ধর—একদিন দেখলাম গয়লা দুধে জল মেশালে,—একদিন কেউ একজন ডোবার জল দিয়ে ঐ দুধ দিয়ে কলেরা বাধিয়ে দিলে, এই রকম—যদি মনে কর দোষ, তবে এরকম করা উচিত নয়। যারা দোষ করে, সব জায়গাই এরকম। আমার ছোটবেলায় ২ পয়সা করে দুধের সের দেখেছি। একজন ছিল গঙ্গার মা, সে দুধ দিত। শুধু জল—ভেজাল। তাই শেষে বুঝলাম—কেন ওকে সবাই গঙ্গার মা ব’লে ডাকত। মুসলমানরা কখনও দুধে জল দেয় না—খুব পাপ মনে করে। কিন্তু ও দিত ব’লে সবাই ঠাট্টা ক’রে গঙ্গার মা ব’লে ডাকত। একদিন ওর দুধের ভেতর
আমরা চিংড়ি মাছ (জ্যান্ত) দেখলাম। তখন যেখানে সেখানে মাছ ছিল। দোষের কথা বলাও মানে দোষ দেখে দুষ্ট হওয়া। দোষ বলা পাঁচজনার কাছে একটা ব্যসন হিসাবে নেওয়ার ঐ অভ্যাসটাই খারাপ। যদি বলি, তাকেই বললাম।

[‘যামিনীকান্ত রায়চৌধুরীর দিনলিপি/তাং-১/১০/৭১ ইং]

[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ২৯৬]