সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
দৌড়ে যাও, কিন্তু হাঁপিয়ে যেও না ; আর, হোঁচট খেয়ে যাতে না প’ড়, দৃষ্টি রেখো।
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
শ্রীশ্রীবড়দা—এক্ষেত্রে দুই দিকেই নজর রাখতে হবে।
ননীদা—অনেক সময় ঠাকুরের ডাকে দৌড়ে আসতে হত, তাতে হাঁপ লাগত।
শ্রীশ্রীবড়দা—বড় বড় খেলোয়াড়, সাঁতারু এদের Pulse rate কম। শোনা যায় Nepolion এর Pulse rate ছিল 50। অজিত গাঙ্গুলী এরাও বল খেলত বলে সহজে হাঁপিয়ে যেত না। একবার শিলং পাহাড়ে 250 ফুট উঁচুতে ওঠা-নামা করতে আমার হাঁপ লাগল, অজিত কিন্তু হাঁপাল না। কারও আবার জন্ম থেকেই দম খুব বেশি। গলার খুব জোর আওয়াজ। কাজ করতে যেয়ে হাঁপ যদি না লাগে, হোঁচট খেয়ে নাও পড়তে পারে। কারণ, শরীরের Balance থাকে, দমও থাকে।
সতীশদা—তাড়াতাড়ি কাজ করতে যেয়ে আমাদের অনেক সময় কাজ পণ্ড হয়ে যায়।
শ্রীশ্রীবড়দা—শরীর মনের সঙ্গতি বজায় রেখে সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন করাটাই বড় কথা। ধর, সংসার চালাতে টাকা লাগে। Industry (ব্যবসা) খুলে দিনরাত পরিশ্রম করে কেউ হয়ত ক্রোড়পতি হয়ে যায়। কিন্তু শরীরের দিকে না তাকিয়ে দিনরাত খেটে অসময়ে খেয়ে শেষে দেখা যায় জন্ডিস্, ডায়াবেটিস ইত্যাদি অসুখ বাধিয়ে বসেছে। অসুখের জ্বালায় তাকে হয়তো শুধু বাৰ্লি খেতে হচ্ছে। দূরদৃষ্টি না থাকলে কার্য্যসিদ্ধির পথে বাধায় হোঁচট খেতে হয়।
[‘যামিনীকান্ত রায়চৌধুরীর দিনলিপি/তাং-১৮/১১/৭২ ইং]
[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ১৭৬ -১৭৭]