সত্যানুসরণ -এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
“যার-উপর যা’-কিছু-সব দাঁড়িয়ে আছে তাই ধর্ম্ম; আর, তিনিই পরমপুরুষ।“
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—একসময় তিনিই ব্যোম হয়ে ছিলেন। তারপর জলময় হয়ে গেল। অনন্ত ব্যোম থেকে অনন্ত জলরাশি। তিনিই অনন্ত জলরাশি হলেন। বৃষ্টি থেকে শেওলা, উদ্ভিদ, পোকামাকড়, বন্য প্রাণী একে একে সৃষ্টি হল। তাঁর ইচ্ছাটাই প্রকৃতিরূপে প্রকট হচ্ছে। আর যদি তুমি মালিককে দেখতে চাও, রক্তমাংস সংকুল দেহে তাঁকে দেখতে পাবে । আলো, হাওয়া, জলরাশি, মাটি, গাছপালা, পশুপাখী, মানুষ ইত্যাদি যাবতীয় যা’র উপর দাঁড়িয়ে আছে তাই ধর্ম্ম আর তিনিই পরমপুরুষ। ধর্ম্ম আর পরমপুরুষ এক। ধর্ম্ম তাঁতেই মূর্ত।
[ ইষ্ট-প্রসঙ্গে/তাং-১৪/১২/৭৫ইং]
শ্রীশ্রীবড়দা—যা’ কিছু কি?
দুর্গেশদা—এই পরিদৃশ্যমান জগৎ—যা’র অস্তিত্ব আমরা অনুভব করছি।
শ্রীশ্রীবড়দা—উদাহরণ দিয়ে বল্।
দুর্গেশদা—যেমন ঘর; ঘরের যা’কিছু নিয়ে তাই হয়ে আছে। অবশ্য সেটা ধরে আছে মাটি।
পণ্ডিতদা—ঐ Power of integrity—এ ধরে রাখবার শক্তিই হ’ল ধর্ম্ম ৷
শ্রীশ্রীবড়দা—Balance maintained হয় তেমন করেছেন সৃষ্টিকর্তা। পাহাড় dead হ’য়ে গেলে সেটা যে form এ ছিল তা’ আবার অন্য form নিলে। পাথর গুঁড়ো হ’য়ে বালি, তা থেকে মাটি, আবার তা থেকে পাথর। Matter energy হচ্ছে, আবার energy matter হচ্ছে। সাপ যেমন সৃষ্টি হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে নেউল, এইভাবে balance থাকে। দুনিয়ায় যেমন বহু মত—সবই তাঁর বিভিন্ন রূপ। যেমন আমার মেয়ে কারও বউ, কারও পিসীমা ইত্যাদি। যে কৌশল বা যে বৃত্তি অবলম্বন করে জীবন-বৃদ্ধির পথে চলে তাই তার ধর্ম্ম।
[যামিনীকান্ত রায়চৌধুরীর দিনলিপি/তাং-১২/১/৭১ইং]
[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ৪২]
[ধর্ম্ম নিয়ে সত্যানুসরণের ১৫, ১৬ পৃষ্ঠার বাণী ব্যাখ্যসহ পড়ুন।]