নামে মানুষকে …করে।-ব্যাখ্যা

সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:

নামে মানুষকে তীক্ষ্ণ করে আর ধ্যানে মানুষকে স্থির ও গ্রহণক্ষম করে।

পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :

সতীশদা বাণীটি একবার পাঠ ক’রে বললেন—নাম করলে মানুষের বুদ্ধি তীক্ষ্ণ হয়, আর বুদ্ধি তীক্ষ্ণ হ’লে সব জিনিস সে সহজে ধরতে পারে—সহজে বোধগম্য হয় তার কাছে।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—অস্ত্র যেমন ধারালো হ’লে সহজে তা’ দিয়ে কাটা যায় সেইরকম নাম যারা করে তারা সহজে সমস্যার সমাধান করতে পারে। নাম ও ধ্যান একই সঙ্গে চলে। নাম করলে ধ্যানও হয়। নাম কী? Repetition of Name—তার ফলে vibration-এর সৃষ্টি হয়। তাতে brain cell (মস্তিষ্ক-কোষ)-গুলো সতেজ হয়।

মদনদা—নাম itself একটা energy (নাম নিজেই শক্তি)।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—শরীর develop করতে গেলে (গঠন করতে গেলে) যেমন ব্যায়াম করা দরকার হয় তেমনি brain develop করতে গেলে (মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে গেলে) নাম করতে হয়। ঠাকুরের ওপর ভালবাসা থাকলেও তা’ হয়। যে ঠাকুরকে খুব ভালবাসে তার brain খুব তীক্ষ্ণ হয়। কেন হয়?—শ্রীশ্রীপিতৃদেব সতীশদাকে প্রশ্ন করলেন।

সতীশদা—তার সবই ইষ্টার্থে নিয়োজিত।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—যে ঈশ্বরকোটী বা ভক্ত—তার repetition of Name, তাঁর জন্য চিন্তা, তাঁর জন্য করা এসব তার spontaneous (স্বতঃস্ফূর্ত )। এইভাবে চলার ফলে স্বভাবতঃই তার brain developed হয় (মস্তিষ্ক সতেজ থাকে)। আবার নিষ্ঠা-সহকারে নাম অভ্যাস ক’রেও অনুরাগ আসে। যখন ভাল লেগে যায় তখন আর ছাড়তে পারে না। নিষ্ঠা নেই যার সে দেখে অনেকদিন থেকে করছি, অথচ কিছুই হ’ল না, ভাবে—ধুত্তোর, ও-সব ক’রে লাভ কী? অবিশ্বাস আসে। নিজের মনেই এ-সব ছেড়ে দেবার কথা ভাবতে থাকে।

আর ধ্যানে স্থির ও গ্রহণক্ষম করে। একজন স্থির, তার গ্রহণ-ক্ষমতা বেশী কি ক’রে বুঝব? যেমন কোন সমস্যার সমাধান আমার কাছে কঠিন মনে হচ্ছে, সেই সমস্যা যখন তোমাকে বললাম তুমি হয়তো সঙ্গে-সঙ্গে সমাধান ক’রে দিলে। তার মানে সমস্যার কথা বলার সঙ্গে-সঙ্গেই তা’তে তুমি ডুবে যেতে পারলে।

পরমেশ্বরদা (পাল)—ধ্যান করতে বসলেই তো দেখি বিষয়-আশয়ের চিন্তা এসে পড়ে।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—নাম যখন করি তখনও ঘর-বাড়ী, স্ত্রী-পুত্র, সাংসারিক বিষয়ের চিন্তা থাকেই। এই সময় ইষ্টকে কেন্দ্র ক’রে চিন্তা করতে চেষ্টা করতে হয়। যেমন ধ্যানে বসতে-বসতেই চালের কথা মনে এল, তুমি চিন্তা করতে থাকলে ঠাকুর কী চাল পছন্দ করতেন, সেই চাল সংগ্রহ করা যায় কিভাবে—এইরকম চিন্তা করতে-করতে একটা clue পেয়ে গেলে—অমুকের কাছে গেলে হ’তে পারে, অমুক লোক এই চালের কথা বলেছিল, অমুক-অমুক জায়গায় এর চাষ আছে। মনকে tight (দৃঢ়) করার process-ই (পদ্ধতিই) হচ্ছে এই। মন তো দৌড়াদৌড়ি করবেই। ঘর-সংসার, বিষয়-আশয়ের চিন্তা হল নিম্নমুখী চিন্তা।

যে-চিন্তা ঠাকুরকে কেন্দ্র ক’রে, ইষ্টকে কেন্দ্র ক’রে—তা’ ঊর্ধ্বমুখী চিন্তা। যখন নাম-ধ্যান করতে বসি তখন ঠাকুরের বিষয়েই চিন্তা করতে হয়। খামাখা পাঁচ ঘন্টা দশ ঘন্টা নানারকম চিন্তা করাটা খারাপ। বহুক্ষণ ধরে বসেছি, এক মিনিট মাত্র ঠাকুরের চিন্তা করছি, বাকী সব আজেবাজে চিন্তা করছি সেটা খারাপ। তবে রোজ অভ্যাস করতে হয়। এক মিনিট-দু’মিনিট অভ্যাস করতে-করতে মন স্থির হ’য়ে আসে।

পরমেশ্বরদা—অনেকে Mechanically (অভ্যাসবশতঃ) ইষ্টভৃতি ক’রে চলে। এর কী মর্ম বোঝে না।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—Mechanically করলেও কাজ হয়। কেউ হয়তো রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে মন্ত্র ব’লে ইষ্টভৃতি করে—Mechanically-ই করে। এমনি করতে-করতে একদিন যেই সাত্ত্বিক ভাব এল— ইষ্টের প্রতি অনুরাগ জন্মাল—ইষ্টভৃতির মর্ম উদঘাটন করল। রাজসিকদের উপচার, আড়ম্বর বেশী। যারা একদিন করে একদিন করে না, তারা তামসিক; তাদের নিষ্ঠা নেই। তাদের জীবনে দুঃখ আসে—তাদের দুর্ভাগ্য।

প্রশ্ন—মুর্তি-ধ্যান কেমন ক’রে করব?

—ধ্যানের জন্য যথেষ্ট কসরতের দরকার। ধ্যান করছ, প্রথমে হয়তো মূর্তির হস্ত, পদ দেখলে—সমগ্র মূর্তির কথা ভাবার চেষ্টা করতে-করতে সমস্ত মুর্তিই পেলে। তাঁর চিন্তাই ক’রে যেতে হবে। আজ্ঞাচক্রে ইষ্টকে ধরে রাখার চেষ্টা করতে-করতে মুর্তি কখনো আসে, কখনো চলে যায়। কিন্তু repetition of Name হ’তে-হ তে একদিন আজ্ঞাচক্রে ঐ মূর্তি stand করে (স্থির হয়)। যখন আজ্ঞাচক্রে ইষ্টমুর্তি স্থির হয়ে আসে তখন মন শান্ত হয়ে ওঠে—জ্যোতিদর্শন সম্ভব হয়। আজ্ঞাচক্রে ঠাকুরকে যে পেয়েছে, আধার অনুযায়ী সে ঠাকুরকে রক্ত-মাংসসঙ্কুল রকমে পায়।

[ ইষ্ট-প্রসঙ্গে/তাং-২০/১০/৭৫ ইং ]

নাম ও ধ্যান কী—প্রশ্ন উঠল।

শ্ৰীশ্রীপিতৃদেব—নাম মানে repetition of Name, ধ্যান মানে ইষ্টচিন্তা। তীক্ষ্ণ করা কেমন?

শঙ্করদা (রায়)—ছুরিতে শান দেওয়া থাকলে চট্‌ ক’রে একটা জিনিস কেটে ফেলা যায়। সেরূপ মানুষের অনেকেই চট্‌ ক’রে একটা জিনিস ধ’রে ফেলে। চট্‌ ক’রে সব বুঝতে পারে। এটাই হ’ল তীক্ষ্ণ হওয়া। নাম করতে থাকলে এভাবে মানুষ তীক্ষ্ণ হয়।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—হ্যাঁ, ও-রকম হয়। তখন brain-cell developed (মস্তিষ্ক-কোষসমূহ বিকশিত) হয়। কোন একটা subject (বিষয়) চোখে পড়ল, ধ্যানের মধ্যে এল, তার সমাধানও ক’রে ফেলল—এ-রকম হয়। সব দিক দিয়ে মানুষ ত্বরিৎকর্মা হ’য়ে ওঠে।

ধ্যান-প্রসঙ্গে বললেন—নামের মধ্যেই ধ্যান হ’তে থাকে। আমরা গুরুর কাছ থেকে নাম (মন্ত্র) পাই। নাম মনে-মনে repeat করতে থাকি, ওর মধ্যেই ধ্যান করা হয়। ধ্যানের ফলে সব-কিছু মনের মধ্যে ধ’রে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়—brain cells developed হয়।

গলার স্বর একটু উঁচু ক’রে তিনি বললেন—আমি জোর দিয়ে কচ্ছি (বলছি), নাম করা উচিত অন্ততঃ এ-বেলা আধঘন্টা, ও-বেলা আধঘন্টা—রোজ। এভাবে কিছুদিন করলে সব clear (স্পষ্ট) হবে।

বসাওনদা (সিং)—আজ্ঞে, ও-বেলা অর্থে কখন, কিভাবে করা যায়?

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—সন্ধ্যায় time (সময়) পেলে করা যায়। দুপুরের খাওয়ার চার-পাঁচ ঘন্টা পর করতে পারা যায়। নাম-ধ্যান করার অন্ততঃ আধঘন্টা পর খেতে হয়। তার আগে নয়।

নাম-ধ্যান করে কি ধরণের মানুষ সে-প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীপিতৃদেব বললেন—মানুষ আবার তিন রকমের আছে। একঃ স্থূল বুদ্ধিসম্পন্ন। তা’রা আহার, নিদ্রা, মৈথুন নিয়েই থাকে। তাদের যতই উপদেশ দাও, কিছুতেই কিছু হয় না—তা’রা ঐ মার্গেই বিচরণ করে। দুইঃ প্রবৃত্তিপরায়ণ মানুষ। তা’রা প্রবৃত্তি যা’ করায় তাই করে। এরা রজোগুণী। তিনঃ এদের ঊর্ধ্বে একদল আছে—যারা শুধুমাত্র আহার, নিদ্রা, মৈথুন নিয়ে থাকে না বা প্রবৃত্তিপরিপোষণ নিয়েই বিচরণ করে না। এরা আহার-নিদ্রা-মৈথুন দ্বারা influenced (প্রভাবিত) নয়। এরা বুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হয়। এই ধর, একজন ভাল Artist (শিল্পী) খাওয়া-দাওয়ার সময় পায় না। হয়তো ছবি আঁকছে, মনটা এদিকেই প’ড়ে আছে। কিংবা ধর, একজন ভাল গায়ক। বাবা-মা’র কথায় বিয়েও করেছে। শ্বশুরবাড়ী যাওয়ার কোন ইচ্ছাই নেই। হয়তো বাবা-মা যেতে বলল। তাই শ্বশুরবাড়ী গেল। কিন্তু মন ছট্ফট্‌ করছে। একদিন থেকে আবার ফিরে এল। কোথাও গাইতে হবে কিংবা রিহার্সাল (rehearsal) দিতে হবে—এই সব ভেবে শ্বশুরবাড়ীতে থাকতেই পারল না। এ-ধরণের মানুষ সহজে সাধন-ভজনে অগ্রসর হ’তে থাকে। এরা A class-এর (প্রথম শ্রেণীর) লোক, সাত্ত্বিক type-এর (সাত্ত্বিক স্বভাবের) লোক।

এদের পরবর্তী যা’রা (নীচের class-এর যা’রা) তাদের সময় লাগে সাধন-ভজনে ফল পেতে। তবে সদগুরু লাভ যদি হয়, তবে তাঁর কৃপায় এ-তিন শ্রেণীর সবারই সহজেই পরিবর্তন হ’তে পারে। ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই তো সব হয়। তিনিই সব।

অজিতদা (গঙ্গোপাধ্যায়)—আজ্ঞে, এখানেও আমরা দেখতে পাই, যারা আশ্রমে আসে তারা কত বিভিন্ন ধরণের মানুষ।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—হ্যাঁ, মানুষও চার ধরণের আসে—আর্ত, অর্থাথী, জ্ঞানী ও জিজ্ঞাসু। যা’রা জিজ্ঞাসু তাদের দেখেই ঠাকুর নড়ে উঠতেন। কত কথা তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসতো। বিভিন্ন প্রশ্ন, বিভিন্ন আলোচনা হ’ত। এ-সব আলোচনার পরেই আবার অনুরাগীদের বলতেন—নাম করো, ভাল ক’রে নাম করো, একদণ্ডও নাম ছেড়ো না—এ-সব বলতেন আধার অনুযায়ী।

পরমেশ্বরদা (পাল)—আজ্ঞে, এই চার শ্রেণীর মানুষের মধ্যে আর্ত ও অর্থার্থী কি স্থূল বৃত্তিসম্পন্ন মানুষ?

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—হ্যাঁ, এরা ওই নীচের ক্লাসের মানুষ। আমার নাই এজন্য ক্ষোভ হয়, ওই তৃতীয় শ্রেণীর মানুষদের—স্থূল বৃদ্ধিসম্পন্ন যারা। এ-সব মানুষ থেকে খুব সাবধানে থাকতে হয়। দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ, যারা প্রবৃত্তিমার্গে ঘোরে, অহঙ্কারের বশীভূত হয়। প্রথম শ্রেণীর মানুষ—যারা বুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হয়, তা’রা ও-সব care-ই (গ্রাহ্যই) করে না। তা’রা নিজেদের আদর্শ নিয়েই থাকে। নিজেদের দুঃখ-দৈন্য এ-সব নিয়ে মাথাই ঘামায় না। দুঃখ-কষ্ট এদের কাছে কিছুই নয়। অন্যের জন্য না করতে পারলে বরং ক্ষোভ হয়। অন্যের দুঃখ দেখে তা’ মোচন করতে না পারলে এরা তৃপ্তিই পায় না।—আমি যা’ বুঝি, তাই বললাম। ঠিক কিনা জানি না। (গুরুকিঙ্করদার দিকে তাকিয়ে) কি গুরুকিঙ্কর, ঠিক বললাম তো!

—আজ্ঞে, হ্যাঁ।

পরমেশ্বরদা—আজ্ঞে, অধিকাংশ মানুষ ওই তৃতীয় শ্রেণীর মধ্যে পড়ে।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—হ্যাঁ, অনেকেই তাই। ওই তৃতীয় স্তরের নীচেই হ’ল পশু। এরা (স্থূল বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষরা) পশুর ঠিক ঊর্ধ্বে।

কথা-প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীপিতৃদেব বললেন—অনেকে বলে, কাম-ভাবে যখন মানুষ থাকে, তখন ধ্যান করলে কামে পড়তে থাকে। কিন্তু তা’ না। ব্যাপারটা ঠিক তা’ না। আসলে সে তখন কামেরই ধ্যান করে। ঠাকুরের ধ্যান করে না। কামভাব কেটে যায় ঠিকমত নাম করলে। শোননি, রাম নাম করলে ভূত চলে যায়? কি ক’রে যায়? ঐ, ঠিকমত করলে। Sincerely (নিষ্ঠাসহ) করা চাই।

গুরুকিঙ্করদা (পাণ্ডে)— অন্তরিন্দ্রিয় কোন্গুলো?

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—মন, বুদ্ধি, চিত্ত, অহঙ্কার—এগুলোকে অন্তরিন্দ্রিয় বলে। চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহবা, ত্বক—এ-সবের কর্তা মন। বুদ্ধি মনের ওপরে। বুদ্ধি মনকে চালনা করে। চিত্ত হ’ল চৈতন্য। সে আবার সর্বঘটে আছে।

পণ্ডিতদা—আজ্ঞে, খাওয়ার কতক্ষণ পর সাধন-ভজনে বসতে হয়?

শ্ৰীশ্ৰীপিতৃদেব—অন্ততঃ চার ঘন্টা পর। বিকেল যদি হয়, তাহ’লে টিফিন খেয়ে আধঘন্টা বা পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর বসতে হয়। সাধন-ভজনের সময় কম খেতে হয়। তা’তে ভাল হয়। দুধ, রুটি, আখের গুড়, একটু চাটনি এ-সব ভাল।

গুরুকিঙ্করদা—অনেকেই খুব বেশী খায়।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—খায় কারা বেশী? যাদের শক্তি আছে, বেশী পরিশ্রম করে তারা বেশী খায়, তারা তো খাবেই। বেশী খেলেই যে দোষ তা’ নয়। অনেকে কম খায় কিন্তু তাতে food-value (খাদ্য উপাদান) বেশী থাকে। Calorie (তাপাঙ্ক) বেশী থাকে। কিন্তু অনেকেই দুধ, ছানা, ফলমূল পায় না। যা’ পায়, তাই বেশী ক’রে খায়। তাই ব’লে যারা দুর্বল, লিকলিকে চেহারা, পরিশ্রম করে না অথচ দু’বেলা সমানে খেয়ে চলেছে তারা অসুস্থ বুঝতে হবে।

পূর্ব কথার সূত্র ধ’রে এবার জনৈক দাদা প্রশ্ন করলেন—আজ্ঞে, আহার, নিদ্রা, মৈথুন নিয়ে যারা থাকে তাদের কি সংশোধনের কোন পথ নেই?

শ্রীশ্রীপিতৃদেব—ওই তো বললাম। এরা স্থূল বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ । এরা যদি ভাল লোকের সঙ্গে থাকে, মহাপুরুষের ভাবধারার সঙ্গে পরিচিত হয় তাহ’লে ঘষতে-ঘযতে পরিবর্তন হয়।

[ ইষ্ট-প্রসঙ্গে/তাং-১৭/৭/৭৪ ইং]

[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ৩১৪ – ৩১৬]