সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
“যে-কর্ম্মে মনের প্রসারণ নিয়ে আসে তাই সুকৰ্ম্ম; আর, যাতে মনে সংস্কার, গোঁড়ামি ইত্যাদি আনে; ফলকথা, যাতে মন সংকীর্ণ হয় তা’ই কুকর্ম্ম।“
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
বাণীটির আলোচনায় দীপ্তিরাণী মুখার্জী ঠিক বলতে না পারায় শ্রীশ্রীপিতৃদেব নিজেই বললেন—মনের প্রসারণ আসে কিভাবে? —যখন সকলকে ভালবাসা যায় তখন মনের প্রসারণ হয়। আর এটা হয় কি ভাবে? মঙ্গলের মূর্ত্ত প্রতীক ইষ্টকে—ঠাকুরকে ভালবাসলেই সকলকে ভালবাসা যায়, ভালবাসা সার্থক হয়। আর সঙ্কীর্ণতা কি? যা করলে সকলকে ভালবাসা যায় না অর্থাৎ ইষ্ট মুখ্য না হয়ে অন্যটা মুখ্য হয়—তখন উল্টো হয়। গোঁড়ামি, সংস্কারে পেয়ে বসে। মুখ্য মানে কি?
দীপ্তিরাণী—প্রধান।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—যেমন ঠাকুরকে ভালবাসে না অথচ লোকদেখানি ইষ্টভৃতি করে। সংস্কারে পেয়ে যায়। এটা আবার স্থান-কাল-পাত্রে বিবেচনার বিষয়। ঠাকুরকে কায়-মন-প্রাণে ভাল না বাসলে সঙ্কীর্ণতা আমাদের পেয়ে বসে।
[পিতৃদেবের চরণপ্রান্তে/তাং-১/৮/৭৯ ইং]
[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ১১১]