সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
ভাল-মন্দ বিচার ক’রে বিধ্বস্ত হওয়ার চেয়ে সৎ-এ(গুরুতে) আকৃষ্ট হও—নির্ব্বিঘ্নে সফল হবে নিশ্চয়।
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
আজ মেয়েদের আলোচনা। শ্রীশ্রীপিতৃদেব ধৃতি (সরকার)-কে আলোচনা করার নির্দেশ দিলেন।
ধৃতি—ভালমন্দ বিচার করে বিধ্বস্ত হওয়ার চেয়ে গুরুর নির্দেশিত পথে এগিয়ে যেতে হবে।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—আলোচনা কর। কোনটা ভাল কোনটা মন্দ, এটা করব, না ওটা করব—এরকম বিচার করতে গেলে কী হবে?
ধৃতি—বিধ্বস্ত হয়ে যাব।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—মানে?
ধৃতি—ধ্বংস হয়ে যাব।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—ভাল-মন্দ বিচার করতে গিয়ে বহু সময় নষ্ট হয়।
অতঃপর শ্রীশ্রীপিতৃদেব শান্তদীপাকে আলোচনা করতে আদেশ করলেন। জিজ্ঞাসা করলেন—সৎ মানে কী?
শান্তদীপা—জীবনবৃদ্ধির যা’ সহায়ক। মানে গুরু।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—সৎ আসছে অস্ ধাতু থেকে। অস্ ধাতুর অর্থ অস্তিত্ব, বিদ্যমানতা, থাকা। সৎ এর মূর্ত প্রতীক ইষ্ট বা গুরু। যাঁকে ধরে চললে জীবনবৃদ্ধি অক্ষুণ্ণ থাকে। যাঁকে অবলম্বন করে, যাঁর কৃপায় মানুষের বিদ্যমানতা, জীবনবৃদ্ধি রক্ষা হয়।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব (শান্তদীাপাকে)—ভালই তো বলেছ। শুধু line (সংযোগ) করে দিতে হবে। ভাল-মন্দ বিচার করতে গিয়ে মানুষ বিধ্বস্ত হয় কেমন করে? ঐইটা ভাল না ঐটা ভাল বিচার করতে গেলে সহজে ভালটা ধরতে পারে না। হয়ত মন্দটাই ধরে ফেললাম এবং বিধ্বস্ত হলাম, বিপর্যস্ত হয়ে পড়লাম।
যদি তুমি ইষ্টকে বা গুরুকে (সৎ-কে) অবলম্বন করে জীবনবৃদ্ধির পথ ধরে চলতে থাক তাহলে তোমার সিদ্ধান্তগুলো সঠিক হবে, বিধ্বস্ত হতে হবে না। তাঁর দয়ায় রক্ষা হবে। কোন বাধাবিপত্তির কবলে পড়তে হবে না।
[ ইষ্ট-প্রসঙ্গে/তাং-২৭/১০/৭৬ ইং]
[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ২৯৩]