শ্রীশ্রীপিতৃদেব পাঠকদের উদ্দেশ্যে বললেন— ‘সত্যানুসরণ’ আলোচনা কর।
অভিধান দেখে শ্রীশ্রীপিতৃদেব বললেন— ‘সৎ’ শব্দ ষ্ণ প্রত্যয় করে আসছে সত্য। মানে উত্তম, চিরস্থায়ী, বিদ্যমান ইত্যাদি। সত্য-এর আরও অর্থ করা যায়— যথার্থ, অমিথ্যা।
সতীশদা বললেন— অস্তি-বৃদ্ধির বিধি অনুসরণই সত্যানুসরণ।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—তা’হলে কতকগুলি বিধি মেনে চললেই হয় ? কেউ বলে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মাছ খাও, কেউ বলে খেও না। সৎ আসছে, অস্ ধাতু থেকে। যাকে অনুসরণ করে চললে অস্তিত্ব সর্বতোভাবে রক্ষা হয়, তাই সত্য। অনু-সৃ + অনট্ = অনুসরণ। যা’ করলে বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠা সম্ভব হয়। যার অনুসরণে সত্যে পৌঁছে যাই ।
পণ্ডিতদা—আমের গন্ধ আম থেকে আসছে, আবার গন্ধ ধরে আমে পৌঁছাই।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—সত্য কোন abstract বস্তু ভাবলে হবে না। এখানে ‘সত্য’ বলতে সত্যের মূর্ত প্রতীক বা ইষ্ট বুঝতে হবে। তাঁর নীতি-নির্দেশ অনুসরণ করে চলতে হবে। তাঁকে অনুসরণের মধ্যে প্রত্যেকের কল্যাণ ও মঙ্গল নিহিত। তাঁর মূর্ত প্রতীককে অনুসরণ করাই সত্যানুসরণ।
[ ইষ্ট-প্রসঙ্গে তাং-৪/১১/৭৫ ইং ]
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—ঠাকুর যে-সব বাণী দিয়েছেন আমার নিজেকে সে-ভাবে গড়ে তুলতে হবে—এ-বোধ আমাদের প্রত্যেকের ভেতর পাকা হওয়া চাই। আমরা রোজ সত্যানুসরণ পাঠ করি, এ-বাণীগুলো আমাদের চরিত্রগত হওয়া প্রয়োজন। ঠাকুর বাণী দিয়েছেন আমার (আমাদের) তৈরি হওয়ার জন্য —আমার চরিত্র-গঠনের জন্য।
[ ইষ্ট-প্রসঙ্গে তাং-১৯/৪/৭৫ ইং ]