অহংকার ও সন্দেহ সম্বন্ধে শ্রীশ্রীঠাকুর সত্যানুসরণের পৃষ্ঠা নং ৫১ – ৫৩ এ বিস্তারিত দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন….
অহঙ্কার যত ঘন, অজ্ঞানতা তত বেশী ; আর অহং যত পাতলা, জ্ঞান তত উজ্জ্বল।
[উপরের “অহঙ্কার … উজ্জ্বল।” বাণীটির ব্যাখ্যা]
সন্দেহ অবিশ্বাসের দূত, আর অবিশ্বাসই অজ্ঞানতার আশ্রয়।
[উপরের “সন্দেহ…আশ্রয়” বাণীটির ব্যাখ্যা]
সন্দেহ আসলে তৎক্ষণাৎ তা’ নিরাকরণের চেষ্টা কর, আর সৎ-চিন্তায় নিমগ্ন হও—জ্ঞানের অধিকারী হবে, আর আনন্দ পাবে।
[উপরের “সন্দেহ…পাবে” বাণীটির ব্যাখ্যা]
অসৎ-চিন্তায় কুজ্ঞান বা অজ্ঞান বা মোহ জন্মে, তা’ পরিহার কর, দুঃখ হ’তে রক্ষা পাবে।
[উপরের “অসৎ…পাবে” বাণীটির ব্যাখ্যা]
তুমি অসৎ-এ যতই আসক্ত হবে ততই স্বার্থবুদ্ধিসম্পন্ন হবে, আর ততই কুজ্ঞান বা মোহে আচ্ছন্ন হ’য়ে প’ড়বে ; আর রোগ, শোক, দারিদ্র্য, মৃত্যু ইত্যাদি যন্ত্রণা তোমার উপর ততই আধিপত্য ক’রবে, ইহা নিশ্চয়।
অহঙ্কার আসক্তি এনে দেয় ; আসক্তি এনে দেয় স্বার্থবুদ্ধি ; স্বার্থবুদ্ধি আনে কাম ; কাম হ’তেই ক্রোধের উৎপত্তি ; আর, ক্রোধ থেকেই আসে হিংসা।
ভক্তি এনে দেয় জ্ঞান ; জ্ঞানেই সৰ্ব্বভূতে আত্মবোধ হয় ; সৰ্ব্বভূতে আত্মবোধ হ’লেই আসে অহিংসা; আর, অহিংসা হ’তেই প্রেম। তুমি যতটুকু যে-কোন একটির অধিকারী হবে, ততটুকু সমস্তগুলির অধিকারী হবে।
[উপরের “ভক্তি…হবে” বাণীটির ব্যাখ্যা]
অহঙ্কার থেকেই আসক্তি আসে ; আসক্তি থেকে অজ্ঞানতা আসে ; আর, অজ্ঞানতাই দুঃখ।
[উপরের “অহঙ্কার…দুঃখ” বাণীটির ব্যাখ্যা]
সন্দেহ থেকেই অবিশ্বাস আসে ; আর, অবিশ্বাসই জড়ত্ব।
[উপরের “সন্দেহ…জড়ত্ব” বাণীটির ব্যাখ্যা]
আলস্য থেকেই মূঢ়তা আসে ; আর, মূঢ়তাই অজ্ঞানতা।
[উপরের “আলস্য…অজ্ঞানতা” বাণীটির ব্যাখ্যা]
বাধাপ্রাপ্ত কামই ক্রোধ ; আর, ক্রোধই হিংসার বন্ধু।
[উপরের “বাধা..বন্ধু” বাণীটির ব্যাখ্যা]
স্বার্থবুদ্ধির আত্মতুষ্টির অভিপ্রায়ই লোভ ; আর, এই লোভই আসক্তি। যে নির্লোভ সেই অনাসক্ত।