দুঃখ কী? কীভাবে দুঃখ থেকে দূরে থাকা যায় তার নির্দেশনা শ্রীশ্রী ঠাকুর তাঁর শ্রীহস্তলিখিত সত্যানুসরণ গ্রন্থে দিয়েছেন। তিনি বলেন…
সঙ্কোচই দুঃখ, আর প্রসারণই সুখ। যাতে হৃদয়ে দুর্ব্বলতা আসে, ভয় আসে— তাতেই আনন্দের খাঁকতি—আর তাই দুঃখ।
[উপরের “সঙ্কোচ….দুঃখ” বাণীটির ব্যাখ্যা]
চাওয়াটা না-পাওয়াই দুঃখ। কিছু চেও না। সব অবস্থায় রাজী থাক, দুঃখ তোমার কী ক’রবে?
[উপরের “চাওয়াটা…. কী ক’রবে?” বাণীটির ব্যাখ্যা]
দুঃখ কারো প্রকৃতিগত নয়কো, তা’কে ইচ্ছে ক’রলেই তাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।
[উপরের “দুঃখ…..যেতে পারে” বাণীটির ব্যাখ্যা]
পরমপিতার কাছে প্রার্থনা কর—’তোমার ইচ্ছাই মঙ্গল; আমি জানি না, কিসে আমার মঙ্গল হবে আমার ভিতরে তোমার ইচ্ছাই পূর্ণ হোক’। আর, তার জন্যে তুমি রাজী থাক—আনন্দে থাকবে, দুঃখ তোমাকে স্পর্শ ক’রবে না।
[উপরের “পরমপিতার….ক’রবে না” বাণীটির ব্যাখ্যা]
কারো দুঃখের কারণ হ’য়ো না, কেহ তোমার দুঃখের কারণ হবে না।
[উপরের “কারো দুঃখের … হবে না” বাণীটির ব্যাখ্যা]
দুঃখও একরকম ভাব, সুখও একরকম ভাব। অভাবের বা চাওয়ার ভাবটাই দুঃখ। তুমি জগতের হাজার করেও দুঃখ নষ্ট ক’রতে পারবে না—যতক্ষণ তুমি হৃদয় থেকে ঐ অভাবের ভাবটা কেড়ে না নিচ্ছ। আর, ধর্ম্মই তা’ ক’রতে পারে।