নাম-যশ প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর সত্যানুসরণের পৃষ্ঠা নং ৫৫, ৫৬ তে বলেছেন…..
নাম-যশ আত্মোন্নয়নের ঘোর অন্তরায়।
তোমার একটু উন্নতি হ’লেই দেখবে কেউ তোমাকে ঠাকুর বানিয়ে ব’সেছে, কেউ মহাপুরুষ ব’লছে, কেউ অবতার, কেউ সদ্গুরু ইত্যাদি ব’লছে ; আবার, কেউ শয়তান, বদ্মায়েস, কেউ ব্যবসাদার ইত্যাদিও ব’লছে ; সাবধান! তুমি এদের কারো দিকে নজর দিও না। তোমার পক্ষে এরা সবাই ভূত, নজর দিলেই ঘাড়ে চেপে বসবে, তা’ ছাড়ানও মহা মুশকিল। তুমি তোমার মত কাজ ক’রে যাও, যা’ ইচ্ছা তাই হোক।
[উপরের “নাম-যশ…তাই হোক” বাণীদু’টির ব্যাখ্যা]
নাম-যশ ইত্যাদির আশায় যদি তোমার মন ভক্তের আচরণ করে, তা’ হ’লে তো মনে কপটতা লুকিয়ে রয়েছে, —তৎক্ষণাৎ তাকে মেরে বের ক’রে দাও। তবেই মঙ্গল, নতুবা সবই পণ্ড হবে।
[উপরের “নাম-যশ…হবে” বাণীটির ব্যাখ্যা]
ঠাকুর, অবতার কিংবা ভগবান্ ইত্যাদি হবার সাধ গেলেই তুমি নিশ্চয় ভণ্ড হ’য়ে প’ড়বে, আর তাতে মুখে হাজার ব’ললেও কাজে কিছুই ক’রতে পারবে না। যদি ওরূপ ইচ্ছা থেকে থাকে, তবে এখনি ত্যাগ কর, নতুবা অমঙ্গল নিশ্চয়।