পাওয়ার জন্য করণীয় প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর সত্যানুসরণের ৬৮, ৬৯ পৃষ্ঠায় নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন….
যেমন ক’রে যা’ পেতে হয়, তা’ না ক’রে সেজন্য দুঃখিত হ’য়ো না।
[উপরের “যেমন… না” বাণীটির ব্যাখ্যা]
করার আগে দুঃখ করা না-পাওয়াকেই ডেকে আনে।
[উপরের “করার… আনে” বাণীটির ব্যাখ্যা]
পেতে হ’লেই—তা’ যা’ই হোক, শুনতে হবে তা’ কি ক’রে পাওয়া যায়—আর, ঠিক-ঠিক তা’ ক’রতে হবে—না ক’রে পাওয়ার জন্য উদ্গ্রীব হওয়ার চেয়ে বোকামি আর কী আছে?
[উপরের “পেতে… আছে?” বাণীটির ব্যাখ্যা]
নিশ্চয় জেনো—করাই পাওয়ার জননী।
করাটা যখনই চাওয়াকে অনুসরণ করে—তার কৃতার্থতা তখনই সম্মুখে দাঁড়ায়।
[উপরের “করাটা… দাঁড়ায়” বাণীটির ব্যাখ্যা]
মানুষের আকাঙ্ক্ষিত মঙ্গল তার অভ্যস্ত সংস্কারের অন্তরালে থাকে, আর মঙ্গলদাতা তখনই দণ্ডিত হন—যখনই দেওয়া মঙ্গলটার অভ্যস্ত সংস্কারের সঙ্গে বিরোধ উপস্থিত হয়—আর তাই প্রেরিত-পুরুষ স্বদেশে কুৎসামণ্ডিত হন।
[উপরের “মানুষের… হন” বাণীটির ব্যাখ্যা]
প্রকৃতি তাদের ধিক্কার করে, যারা নাকি প্রত্যক্ষকে অবজ্ঞা বা অগ্রাহ্য ক’রে পরোক্ষকে আলিঙ্গন করে। আর, পরোক্ষ যার প্রত্যক্ষকে রঞ্জিত ও লাঞ্ছিত করে—তারাই ফাঁকির অধিকারী হয়।