বন্ধন ও অদৃষ্ট নিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর সত্যানুসরণের ২০, ২১, ২২ পৃষ্টায় বলেছেন…..
কাজ ক’রে যাও, কিন্তু আবদ্ধ হ’য়ো না। যদি বিষয়ের পরিবর্ত্তনে তোমার হৃদয়ে পরিবর্ত্তন আসছে বুঝতে পার, আর সে-পরিবর্ত্তন তোমার বাঞ্ছনীয় নয়, তবে ঠিক জেনো, তুমি আবদ্ধ হয়েছ।
[উপরের “কাজ..হয়েছ” বাণীটির ব্যাখ্যা]
কোনপ্রকার সংস্কারেই আবদ্ধ থেকো না, একমাত্র পরমপুরুষের সংস্কার ছাড়া যা’-কিছু সবই বন্ধন।
[উপরের “কোনপ্রকার…বন্ধন” বাণীটির ব্যাখ্যা]
তোমার দর্শনের—জ্ঞানের পাল্লা যতটুকু অদৃষ্ট ঠিক তারই আগে; দেখতে পাচ্ছ না, জানতে পাচ্ছ না, তাই অদৃষ্ট।
[উপরের “তোমার দর্শনের…অদৃষ্ট” বাণীটির ব্যাখ্যা]
তোমার শয়তান অহঙ্কারী আহাম্মক আমিটাকে বে’র ক’রে দাও ; পরমপিতার ইচ্ছায় তুমি চল, অদৃষ্ট কিছুই ক’রতে পারবে না। পরমপিতার ইচ্ছাই অদৃষ্ট।
[উপরের “তোমার…অদৃষ্ট” বাণীটির ব্যাখ্যা]
তোমার সব অবস্থার ভিতর তাঁর মঙ্গল-ইচ্ছা বুঝতে চেষ্টা কর, দেখবে কাতর হবে না, বরং হৃদয়ে সবলতা আসবে, দুঃখেও আনন্দ পাবে।
[উপরের “তোমার সব…পাবে।” বাণীটির ব্যাখ্যা]
কাজ ক’রে যাও, অদৃষ্ট ভেবে ভেঙ্গে প’ড় না; আলসে হ’য়ো না, যেমন কাজ ক’রবে তোমার অদৃষ্ট তেমনি হ’য়ে দৃষ্ট হবেন। সৎ-কর্মীর কখনও অকল্যাণ হয় না। একদিন আগে আর পাছে।
পরমপিতার দিকে তাকিয়ে কাজ ক’রে যাও। তাঁর ইচ্ছাই অদৃষ্ট; তা’ ছাড়া আর-একটা অদৃষ্ট-ফদৃষ্ট বানিয়ে বেকুব হ’য়ে ব’সে থেকো না। অনেক লোক অদৃষ্টে নেই ব’লে হাল ছেড়ে দিয়ে ব’সে থাকে, অথচ নির্ভরতাও নেই, শেষে সারা জীবন দুর্দশায় কাটায়, ও-সব আহাম্মকী।
[উপরের “পরমপিতার … আহাম্মকী” বাণীটির ব্যাখ্যা]
তোমার তুমি গেলেই অদৃষ্ট ফুরুলো, দর্শনও নাই, অদৃষ্টও নাই।