শিষ্য সম্বন্ধে শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর শ্রীহস্তলিখিত সত্যানুসরণের পৃষ্ঠা নং ৩০, ৩১ এ বলেছেন……
অন্ধ হওয়া দুর্ভাগ্য বটে, কিন্তু যষ্টিচ্যুত হওয়া আরও দুর্ভাগ্য ; কারণ, যষ্টিই অনেকটা চক্ষুর কাজ করে।
[উপরের “অন্ধ…করে।” বাণীটির ব্যাখ্যা]
স্কুলে গেলেই তা’কে ছাত্র বলে না, আর, মন্ত্র নিলেই তা’কে শিষ্য বলে না, হৃদয়টি শিক্ষক বা গুরুর আদেশ পালনের জন্য সৰ্ব্বদা উন্মুক্ত রাখতে হয়। অন্তরে স্থির বিশ্বাস চাই। তিনি যা’ই ব’লে দেবেন তাই ক’রতে হবে, বিনা আপত্তিতে, বিনা ওজরে বরং পরম আনন্দে।
[উপরের “স্কুলে…আনন্দে।” বাণীটির ব্যাখ্যা]
যে-ছাত্র বা শিষ্য প্রাণপণে আনন্দের সহিত গুরুর আদেশ পালন ক’রেছে, সে কখনই বিফল হয়নি।
[উপরের “যে-ছাত্র…হয়নি” বাণীটির ব্যাখ্যা]
শিষ্যের কৰ্ত্তব্য প্রাণপণে গুরুর আদেশ কার্য্যে পরিণত করা, গুরুকে লক্ষ্য ক’রে চলা।
[উপরের “শিষ্যের…চলা” বাণীটির ব্যাখ্যা]
যখনই দেখবে, গুরুর আদেশে শিষ্যের আনন্দ হ’য়েছে, মুখ প্রফুল্ল হ’য়ে উঠেছে, তখনই বুঝবে যে তার হৃদয়ে শক্তি এসেছে।