সন্দেহ প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর শ্রীহস্তলিখিত সত্যানুসরণ গ্রন্থের পৃষ্ঠা নং ৪৪, ৪৫ এ বলেছেন….
বিশ্বাস বিরুদ্ধ ভাব দ্বারা আক্রান্ত হ’লেই সন্দেহ আসে।
[উপরের “বিশ্বাস…আসে” বাণীটির ব্যাখ্যা]
বিশ্বাস সন্দেহ-দ্বারা অভিভূত হ’লে মন যখন তাই সমর্থন করে তখনই অবসাদ আসে।
[উপরের “বিশ্বাস সন্দেহ…আসে” বাণীটির ব্যাখ্যা]
প্রতিকুল যুক্তি ত্যাগ ক’রে বিশ্বাসের অনুকূল যুক্তি শ্রবণ ও মননে সন্দেহ দূরীভূত হয়, অবসাদ থাকে না।
[উপরের “প্রতিকুল…না” বাণীটির ব্যাখ্যা]
বিশ্বাস পেকে গেলে কোন বিরুদ্ধ ভাবই তাকে টলাতে পারে না।
[উপরের “বিশ্বাস…না” বাণীটির ব্যাখ্যা]
প্রকৃত বিশ্বাসীর সন্দেহই বা কী ক’রবে, অবসাদই বা কী ক’রবে।
[উপরের “প্রকৃত…করবে” বাণীটির ব্যাখ্যা]
সন্দেহকে প্রশ্রয় দিলে সে ঘুণপোকার মত মনকে আক্রমণ করে, শেষে অবিশ্বাসরূপ জীর্ণতার চরম মলিন দশা প্রাপ্ত হয়।
সন্দেহের নিরাকরণ ক’রে বিশ্বাসের স্থাপন করাই জ্ঞানপ্রাপ্তি।
[উপরের “সন্দেহের…জ্ঞানপ্রাপ্তি।” বাণীটির ব্যাখ্যা]
তুমি যদি পাকা বিশ্বাসী হও, বিশ্বাস-অনুযায়ী ভাব ছাড়া জগতে কোন বিরুদ্ধ ভাব, কোন মন্ত্র, কোন শক্তি তোমাকে অভিভূত বা যাদু ক’রতে পারবে না, নিশ্চয় জেনো।
[উপরের “তুমি…জেনো” বাণীটির ব্যাখ্যা]
তোমার মন থেকে যে-পরিমাণে বিশ্বাস স’রে যাবে, জগৎ সেই পরিমাণে তোমাকে সন্দেহ ক’রবে বা অবিশ্বাস ক’রবে, এবং দুর্দ্দশাও তোমাকে সেই পরিমাণে আক্রমণ ক’রবে, ইহা নিশ্চয়।
[উপরের “তোমার…নিশ্চয়” বাণীটির ব্যাখ্যা]
অবিশ্বাস-ক্ষেত্র দুর্দ্দশা বা দুর্গতির রাজত্ব।
[উপরের “অবিশ্বাস…রাজত্ব” বাণীটির ব্যাখ্যা]
বিশ্বাস-ক্ষেত্র বড়ই উৰ্ব্বর। সাবধান! অবিশ্বাসরূপ আগাছায় সন্দেহরূপ অঙ্কুর উঠতে দেখলেই তৎক্ষণাৎ তা’ উৎপাটন কর, নতুবা ভক্তিরূপ অমৃতবৃক্ষ গজাতে পারবে না।