অনুশ্রুতির ১ম খন্ডে “ইষ্টভৃতি স্বস্ত্যয়নী” শিরোনামে পৃষ্ঠা ৩১৭ – ৩৩৪ পর্যন্ত মোট ৭৪টি বাণী রয়েছে।
এর মধ্যে ৪১ – ৫০ নং বাণী নিচে দেয়া হলো।
যজন, যাজন, ইষ্টভৃতি
স্বস্ত্যয়নীর প্রথম ধাপ,
ও না করলে স্বস্ত্যয়নীর
হয়ই জানিস্ অপলাপ । ৪১।
ইষ্টভৃতি অটুট ধরি’
স্বস্ত্যয়নী কর্ সাধন,
ছুটবে আপদ-বিপদ যত
কাটবে রে তোর সব বাঁধন । ৪২।
ইষ্টভৃতি স্বস্ত্যয়নী সাধু সহজ যা'র, যে-কাজেতেই থাক্ না সে-জন দক্ষ জীবন তা'র । ৪৩।
ইষ্টভৃতি স্বস্ত্যয়নী
সহজ হয়নি যা'র,
ক্ষীণ-সম্বেগী সে মানুষ
ব্যর্থতায় চুরমার । ৪৪।
স্বস্ত্যয়নীর নিখুঁত পালা'য়
জীবন ফেঁপে ওঠে,
বংশক্রমে লক্ষ্মী বাড়ে
হাভাত যায় রে টুটে । ৪৫।
দারিদ্র্যে আর দুর্ব্বিপাকে যতই না হোক লাঞ্ছনা, নিখুঁতভাবে করতে থাক্ তুই স্বস্ত্যয়নীর সাধনা; আপদ-বিপদ গ'লে গিয়ে দেখিস্ সুফল আনবে ডাকি,' পরাক্রমটি উঠবে ফুটে সুসম্ভারে সকল ঢাকি' । ৪৬।
যজন-যাজন-ইষ্টভৃতি সহ স্বস্ত্যয়নী নিলে, ঐ সাধনে ধীরে-ধীরে পুরুষার্থ যাবে মিলে; স্বস্ত্যয়নী স্বভাব-প্রাণে ইষ্টভৃতির অটুট পালন, জীবন ফলে ফুল্লরোলে শক্তিরও হয় প্রখর চলন । ৪৭।
বেকার-ভরা জাতটা যদি দক্ষ ক'রেই তুলতে চাস্, অথামবেগে স্বস্ত্যয়নী যত পারিস্ বিলিয়ে যাস্; অর্থনীতির গড়গড়ি তোর যতই করুক স্পর্দ্ধনা, স্বস্ত্যয়নী বিনা জানিস্ হবে না দেশের বর্দ্ধনা । ৪৮।
স্বস্ত্যয়নীর ইষ্টোত্তর
পালবে জন-জাতটা তোর,
ইষ্টোত্তর বাড়বে যত
জনউন্নত হবেই তত,
দেশে হাভাত থাকবে না
আলসে-কুঁড়ে রইবে না । ৪৯।
স্বস্ত্যয়নী মুক্তি আনে রাষ্ট্র সহ প্রতি প্রাণে । ৫০।