সত্যানুসরণ -এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
“কামিনী থেকে কাম বাদ দিলেই ইনি মা হ’য়ে পড়েন। বিষ অমৃত হ’য়ে গেল। আর মা মা-ই, কামিনী নয়কো।“
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
শ্রীকন্ঠদা—ঠিক আছে?
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—ঠিক তো আছেই। তবে আলোচনা করার আছে। বিষ অমৃত হয়ে গেল কেমন করে?
শ্রীকন্ঠদা—আগে কামিনী ভাবতাম, এখন ভাবি না। তাই বিষ অমৃত হয়ে গেল।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—ভাবলে কী হ’ল?
হরিপদদা—ভাবার সাথে করা আছে।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—কামিনী মহিলা। দেখে যদি মা বোধ হয়, তাকে দেখে আনন্দ পাই, কথা বলেও আনন্দ পাই। যদি গল্প করছে দেখে লোকে আনন্দ পায়। সে তো freely তা করতে পারে। কেউ কিছু মনে করতে পারে সে ভাবেই না। মহাত্মা শুকদেব মুক্তমনের পুরুষ। পুষ্করিণীতে মেয়েরা বিবস্ত্র হয়ে স্নান করছে। শুকদেব স্নানদৃশ্য দেখেও নির্বিকার, মনের কোন বিক্ষেপ নাই। কিছু মনেই হ’ল না।
অমৃত জীবনের বৃদ্ধি ঘটায়। প্রসারণ নিয়ে আসে। তার মধ্যে ধ্বংসের ভাব নেই। আর বিষে আছে ধ্বংসের ভাব, অধঃপাতের ভাব।
হরিপদদা—অমৃত ইস্টপথে নিয়ে যায়।
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—ইষ্টপথে নিয়ে যায় বললে প্রশ্ন আসবে ইষ্টপথ কী? ইষ্ট মানে কী? একজন নারীকে দেখে যে ভাবটা ( কামিনীর ভাব) তার উপর আরোপ করছি সেই ভাবটাই পাপ, বাধা, বিপত্তি, গণ্ডগোল । তা যদি না হয় তাহ’লেই আনন্দ । তখন সুন্দর মহিলাকে দেখে কামভাব জাগবে না। নিজের মাকে দেখলে যে ভাব আসে, সেই ভাব আসবে।
[ ইষ্ট-প্রসঙ্গে/তাং-২২/১১/৭৫ ইং ]
[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ১৫]