ইষ্টভৃতি নিয়ে অনুশ্রুতি ৭ম খন্ড

অনুশ্রুতির ৭ম খন্ডে “ইষ্টভৃতি ও স্বস্ত্যয়নী” শিরোনামে পৃষ্ঠা ৫৯ – ৬১ পর্যন্ত মোট ১৭ টি বাণী রয়েছে।
বাণীগুলো নিচে দেয়া হলো।

শিষ্টাচারে ইষ্টভৃতি
করেই দলন বহুত ভীতি। ১।
ইষ্টভৃতি করবি ক'ষে
উদ্দাম অনুরাগে,
যা'ই না করিস্ হদিস পাবি
তেমনতরই তাকে। ২।
চার মুঠো চালে আঁজলমুষ্টি 
দেব-পিতৃ-ভূতপ্রাণ,
এমন দানে ত্রিলোক পুষ্ট
পূরণ-গড়ন-পরিত্রাণ। ৩।
বিঘা প্রতি আড়াই কাঠা 
রুজির আড়াই আনা—
ইষ্টসেবায় অর্ঘ্য দিয়ে
বৃদ্ধিতে চল্ টানা। ৪।
ভিক্ষা চাইলে ইষ্টভৃতি
শ্রদ্ধাভরে দেওয়াই রীতি। ৫।
উদরান্নের সংস্থান নাই—
অভাব-অনটন-অপারগতায়
ইষ্টভৃতি-স্বস্ত্যয়নী
ভিক্ষা ক’রেও করবি তা'য়। ৬।
স্বস্ত্যায়নী একবার নিয়ে
রুদ্ধ করা নয় সমীচীন,
ভিক্ষা ক'রেও অর্থ দিলে
তা'তেও হবে দৈন্যহীন। ৭।
ইষ্টভৃতি-স্বস্ত্যয়নী
ভিক্ষায় করতে হয়ই যা'দের,
আঁজল-মুষ্টির অধিক তণ্ডুল
নিতে নাইকো কভু তাদের। ৮।
ইষ্টভৃতি-স্বস্ত্যয়নী
পাবক পূরক মহান বাণী। ৯।
যত কষ্টেই পড়ুক নাকো,
আয়ু যদি তা’র থাকে,
ইষ্টভৃতি-স্বস্ত্যয়নী
ব’য়েই নেবে তাকে। ১০।
ইষ্টভৃতি-সহ যাহার
স্বস্ত্যয়নী চরিত্রগত,
ধনে-জনে লক্ষ্মী বেড়ে
হবেই শক্তি উচ্ছলিত। ১১।
সুমানসে যা'ই না করবে
সদক্ষিণায় কর তা’,
ইষ্টভৃতি-স্বস্ত্যয়নীর
দক্ষিণাতেই দক্ষতা। ১২। [মাসান্তে প্রেরণের সময় দক্ষিণার কথা বোঝানো হয়েছে।]
জীবনপথের পাঁচটি আয়ুধ
স্বস্ত্যয়নী নীতি,
স্বভাবে গাঁথা থাকলে ও তোর
নাই রে কোনই ভীতি। ১৩।
লক্ষ ঝলকে দুলিয়া ফুলিয়া
রিমি-রিমি জ্যোতিঃ বিকিরণে
দ্যুতিদোলকে চমকে ঝমকে
চলে স্বস্ত্যয়নী জীবনরণে। ১৪।
সূর্য্যতেজা মৃত্যু-অরি
দীপ্ত আর্য্যদ্বিজের ঘর,
পূৰ্ব্বপুরুষ-অনুসৃত
স্বস্ত্যয়নী আগলে ধর্। ১৫।
পা-দাপটে গুল্ফ গেড়ে
অমিততেজে দৈন্য ধরি'
এক আছাড়ে কর্ রে নিকাশ
স্বস্ত্যয়নী শরণ করি'। ১৬।
যাক্ অবসাদ বিষাদ বিপাক
পিশুনবৃত্তি নিপাত যাক্,
ভীম-প্রহরণ দৈন্যহনন
স্বস্ত্যয়নী দৃপ্ত থাক্। ১৭।

Loading