ইষ্টভৃতি নিয়ে অনুশ্রুতি ২য় খন্ড

অনুশ্রুতির ২য় খন্ডে “ইষ্টভৃতি ” শিরোনামে পৃষ্ঠা ৩৯ – ৪০ পর্যন্ত মোট ০৯ টি বাণী রয়েছে।
বাণীগুলো নিচে দেয়া হলো।

বাঁচাবাড়ার জীবন-যজ্ঞ 
         ইষ্টভৃতির অমোঘ টানে, 
বাড়িয়ে নিয়ে তোল্ জাগিয়ে 
         দৃপ্ত হ' তুই সেবার টানে। ১।
যেমন অটুট আবেগ নিয়ে 
         ইষ্টভৃতি তুই করিস, 
সকল কাজে ভরণ-পোষণ 
         তেমনি ধারায় তুই পালিস্। ২।
মঙ্গল-যাগের প্রাণ-প্রতিষ্ঠা 
         ইষ্টভৃতি ঠিক জানিস্, 
ইষ্টভৃতি-সন্দীপনা 
         সব ব্যাপারেই ঠিক রাখিস্। ৩।
ইষ্টার্থটি লক্ষ্য রেখে 
         আবেগভরা স্বস্তি নিয়ে,
 ইষ্টভৃতি করলে জানিস্ 
         শক্তি পাবি তা'ই দিয়ে। ৪।
ভরণ-পূরণ আবেগ তোমার
         খরস্রোতা যেমন হবে, 
কৃতিকুশল তৎপরতাও 
         অন্তরেতে তেমনি র'বে। ৫।
আগ্রহ-মদির ভাব-দীপনায় 
         যা'রাই ইষ্টভৃতি করে, 
অপ্রত্যাশী এমন ভৃতি
         সৎ-চলনায় তা'কেই ধরে। ৬।
প্রত্যাশাহীন ইষ্টভৃতি 
         জীবন-যজ্ঞের প্রথম হোম, 
সেই রাগেতে চলিস্-ফিরিস্ 
         তাঁ'র নিদেশে রেখে দম। ৭।
ইষ্টভৃতি করার সময় 
         স্বার্থ-প্রার্থনা করিস্ নে, 
শ্রদ্ধা-বাঁধন দিয়ে মনে—
         ও-ছাড়া আর ঘুরিস্ নে। ৮।
অরুণ-ঊষার আগেই করিস্ 
         রাত্রি-শয্যার সকল ত্যাগ, 
ঐ রাগেরই অনুরাগে 
         করিস্ ইউভূতির যাগ। ৯।