গার্হস্থ্যনীতি প্রসঙ্গে অনুশ্রুতি ৩য় খন্ড

অনুশ্রুতির ৩য় খন্ডে “গার্হস্থ্যনীতি” শিরোনামে পৃষ্ঠা ১৯২ – ১৯৫ পর্যন্ত মোট ১৫ টি বাণী রয়েছে।
নিচে বাণীসমূহ দেয়া হলো।

স'য়ে-ব'য়ে চলতে থাক্‌,
এড়াবি অনেক বেতাল পাক। ১।
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অত্যাচার
স্বামীতে স্ত্রীর নাই আবেগ,
ভাঙ্গন ধরে সেই পরিবারে
রয় না স্বস্তির শিষ্ট বেগ। ২।
আত্মস্বার্থ ছেড়ে দিয়ে
যা'রা তোমার আশ্রয় নেছে—
জীবনভরই থাকবে তা'রা,
থাকবে তা'রা ক'রে-বেঁচে। ৩।
সংসারই কিন্তু চালের খেলা
তাই তো সে রয় চির-চলন্ত,
শিষ্ট চালেই জীবন-বৃদ্ধি
চালের গুণেই জীবন হসন্ত। ৪।
বুঝে-সুঝে চলিস্-ফিরিস্
বলিস্ করিস্ তেমনি হ'য়ে,
ইষ্টতপা নিষ্ঠা নিয়ে।
চল্ না জীবন অমনি ব'য়ে। ৫।
টলায়মান মতি যেথায়
আত্মমৰ্য্যাদা শিষ্ট নয়,
চলাফেরা-আত্মীয়তা
বুঝে করিস্, নয়তো ভয়। ৬।
এলোমেলো বিস্ফোরণায়
দীর্ণ ক'রে নিজের বুক,
নষ্ট হো'স্ নে নিজেও কভু
দিস্ নে ভেঙ্গে পরের সুখ। ৭।
অনুকম্পায় ক'বি কথা
ঝগড়া-ঝাঁটি যাই না হো'ক,
ব্যবহারের দৈন্য যা'-সব
ফেরাবিই তা'র দুষ্ট ঝোঁক। ৮।
কুলোকের কেমন আধিপত্য
সৎলোকেরই বা কেমনতর,
সৎলোকের প্রাধান্য থাকলে
সেইটি জানিস্ শুভ, দড়। ৯।
পরিবেশ-পরিস্থিতি
সবার পক্ষেই প্রয়োজন,
ব্যষ্টি-সমষ্টি দুই হিসাবে
চৰ্য্যায় আনে সম্বৰ্দ্ধন। ১০।
মানুষ দেখলেই সব হ'ল না,
থাকে না মানুষ চিরকাল,
দেখে-শুনে বুঝে-সুঝে
দেখ—বাড়াও জীবনকাল। ১১।
জল-ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য কেমন
তরি-তরকারী ডাল আর ধান,
খতিয়ে নিয়ে এ সকলটি
দেখিস্ যোগ্য কিনা স্থান। ১২।
মাটির ভাণ্ডে দুইয়ে দুধ
মাটির ভাণ্ডে রেখে
মাটির ভাণ্ডে জ্বাল দিও তা’
সাবধানেতে দেখে ;
মাটির ভাণ্ডেই মথন ক'রে
মাটির ভাণ্ডেই দিও জ্বাল,
সুপাক ক'রে দেখো দেখি
গন্ধে-বর্ণ ঘিয়ের তাল ;
হেম মুখার্জ্জী ব'লে গেছে
এ-সব কথা আমার কাছে,
হয় কি না হয় ক'রে দেখ
কেমন ফলে তোমার কাছে। ১৩।
গৃহস্থদের বসতবাড়ী—
বিদ্যাস্থণ্ডিল খেতাব দিয়ে,
বিদ্যার্জ্জনের কর্ ব্যবস্থা
কৃতিতপায় সব বিনিয়ে। ১৪।
শুনবে কি ? কথা রাখবে কি ?
আবার বলি, শুনবে কি ?
নিজ পরিবারের মেয়ে-পুরুষের
কুলপঞ্জী রাখবে কি ?
তোমার ঘরের কোন্ মেয়ে
কোন্ পুরুষে বিয়ে দিয়ে
সন্ততি তা'র কেমন হয়—
খতিয়ে নিয়ে দেখবে কি ?
নিছক বেকুব যদিও আমি
আমার কথা রাখবে কি ?
শুধরে নিয়ে ভবিষ্যৎটা
ভাল'য় উছল করবে কি ? ১৫।

Loading