সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
“ধনবান যদি অহঙ্কারী হয়, সে দুর্দ্দশায় অবনত হয়।“
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
সতীশদা—লালদাকে হিন্দীতে বলতে বলছি।
লালদা—ধনবান যদি অহংকারী হোগা, রুপইয়া কো বঢ়া মালুম করেগা, Balance Maintain নেহী করেগা।
শ্রীশ্রীবড়দা—ধনবান যদি অহংকারী হোতা অপনা ব্যবহারসে স্বজন বিগঢ়া দেতা হ্যায়। আস্তে আস্তে স্বজনরা, তারপর পাড়াপড়শী, তারপর বন্ধুবান্ধব isolated হো জাতা হ্যায়।
লালদা—পাটনামে বড়ে বড়ে আদমী মোটা কমাতে হ্যায়। কোই কিসিকো পরোয়া নেহী করতা হ্যায়। চাহে লেড়কা ইয়া নোকর।
পরমেশ্বরদা—নির্ধন অহংকারী অগর হো, তর কেয়া হোতা হ্যায়?
শ্রীশ্রীবড়দা—পাঁচ আদমী মিলকর ভাটতে হ্যায় । অহংকারী ধনীকা পথ হোতা হ্যায় দম্ভ-দর্প-অহংকার। আমার ৫টা ছেলে, এই নিয়ে অহংকার, যৌবনের অহংকার, তাকতের অহংকার, এই নিয়ে নিজেই নিজের মৃত্যুবান তৈরি করলো।
ধনীদের ভাল করারও ক্ষমতা আছে, খারাপ করবারও ক্ষমতা আছে। বেশিরভাগ লোকই ধনের ‘পর আকৃষ্ট হয়। তারা ক্ষতিও করতে পারে, আবার মঙ্গলও করতে পারে। অনেক ভাল জমিদার দেখা যায়, পাইক বরকন্দাজ আছে। তাসত্ত্বেও নিজে যেয়ে দেখাশুনা করে—কে কি খেল, কোথায় সাধু আছে। আবার এমনও আছে—বরকন্দাজ নিয়ে ধরে আনল, যে খাজনা দিল না আটকে রাখল, যে ছাতা মাথায় দিয়ে গেল সামনে দিয়ে, তাকে ধরে নিয়ে এল। রামমোহন রায় এক জমিদারকে দেখে বলেছিলেন—তোমরা যে আচরণ করছ তাতে তোমাদের সুবিধা হবে না। ভাল ব্যবহার কর।
পণ্ডিতদা—চুনীদার কাছে গল্প শুনেছিলাম, ছাতা মাথায় দিয়ে এক ব্রাহ্মণ যাচ্ছিলেন, তাকে কঠিন ভাবে নির্যাতিত হ’তে হয়েছিল।
শ্রীশ্রীবড়দা—বিপরীত বৈশিষ্ট্যের লোকও ছিল। ছাতা মাথায় নেই। ডাকায়ে নিয়ে এসে ছাতা দিয়ে দিল।
[‘যামিনীকান্ত রায়চৌধুরীর দিনলিপি/তাং-২৬/৫/৭৫ইং]
[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ১৮১]