সত্যানুসরণ-এ থাকা শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীটি হলো:
যে-কার্য্যে তোমার বিরক্তি ও ক্রোধ আসছে, নিশ্চয় জেনো, তা’ পণ্ড হওয়ার মুখে।
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা কর্তৃক ব্যাখ্যা :
শ্রীশ্রীবড়দা—(নন্দ সরকারকে) আলোচনা কর।
নন্দ সরকার—যে কাজটা করতে যাব, ঐ কাজে যদি বিরক্তি আসে, তাহলে তার ফল পাব না।
শ্রীশ্রীবড়দা—ও তো লেখাই আছে আলোচনা কর। উদাহরণ দে—জামা সেলাই করতে যাচ্ছিস—
জনৈক বোন—অনেকক্ষণ ধরে সেলাই করছি কিছুতেই হচ্ছে না।
শ্রীশ্রীবড়দা—কেন?
—বিরক্তি আসছে বলে বাজে হয়ে যাচ্ছে, ঠিক হচ্ছে না।
শ্রীশ্রীবড়দা—কেন?
—আমার জামা সেলাইয়ের ওপর মন নেই।
শ্রীশ্রীবড়দা—বারে বারেই ভুল হচ্ছে, তাতে বিরক্তি আসছে। অনুরক্তি মানে কি? মার ওপর যদি টান থাকত, মা যখন বলেছে তখন করতিস্। সেই জন্যে কোন কাজ করতে হলে অনুরাগ লাগে। বিরক্তি মানে অনুরক্তিহীন, টান না হওয়া। কাজে মন না থাকলে কাজ ভন্ডুল হয়।
[‘যামিনীকান্ত রায়চৌধুরীর দিনলিপি/তাং-৩/৫/৭৬ ইং]
[প্রসঙ্গঃ সত্যানুসরণ পৃষ্ঠা ১৭৭]
টীকা—
বিরক্ত—অনুরাগহীন, আসক্তিহীন, উদাসীন, অসন্তুষ্ট, অপ্রসন্ন [সূত্রঃ সংসদ বাংলা অভিধান]