অনুশ্রুতির ১ম খন্ডে “কৃষি” শিরোনামে পৃষ্ঠা ১২২ – ১২৪ পর্যন্ত মোট ১৯ টি বাণী রয়েছে। বাণীসমূহ নিচে দেয়া হলো।
কাজে খাটে যদি জন তবেই তা'র উপার্জ্জন। ১।
গায়ের রক্ত ক'রে জল খাটলে মেলে পয়সা ফল। ২।
যা'র পয়সায় জমি কেন না সেই তো মালিক আর কেহ না । ৩।
পয়সা যা'র জমি তা'র তা'রই ভূঁয়ে অধিকার। ৪।
জমিতে যা'র অধিকার ফসলে ভাগ আছেই তা'র । ৫।
জমির মালিক পায় যা' ফসল কৃষক পায় তা'র চষবারই ফল। ৬।
কিষাণ পায় শ্রমের ভাগ মালিক পাবে তা'রই আগ। ৭।
লাঙ্গল লালে মেহানত কৃষক পায় তা'রই কিম্মৎ। ৮।
মালিকের কৃষি মালিকের খাজনা দিতেই কৃপণ চৌর্য্য-মনা। ৯।
কৃষির খাজনা দিতে আপদ গণেই চৌর্য্য-বিশারদ। ১০।
চোত-বোশাখের মাঝখানে কর আশুব্রীহির বপন শেষ, খরা-ঝরা হোক না যেমন প্রায়ই ফসল পাবি বিশেষ। ১১।
ঝাড়ের তেজে বীজের গোঁ ক্ষেত বুঝে তাই বীজটি রো। ১২।
ঊর্ব্বরা নয় ক্ষেতটি যেথায় সুবীজও কি ফলবে সেথায়? ১৩।
যেমন বীজটি ফেলবে ক্ষেতে পাবেও তাহা অঙ্কুরেতে। ১৪।
ভালও যদি ফসল ক্ষেতের হয় না তফাত বীজের জাতের। ১৫।
ক্ষেতের গুণে বীজের বাড় যেমনি বীজ তেমনি ঝাড়। ১৬।
গজান গুণ থাকলে ক্ষেতের হয় তা তফাৎ বীজের জাতের। ১৭।
খাই-দাই-চলা ধানের ক্ষেত একখানা পাকা বাড়ী, এইটুকুতে দিয়ে ভর বর্দ্ধনে দে পাড়ি। ১৮।
জমি-জমা কৃষিভরা ধান্য-গোধূমশালী, প্রলয়েও সে নষ্ট না হয় যাপে স্বজন পালি'। ১৯।