চাওয়াটা না-পাওয়াই ….কী ক’রবে? – ব্যাখ্যা
চাওয়াটা না-পাওয়াই দুঃখ। কিছু চেও না। সব অবস্থায় রাজী থাক, দুঃখ তোমার কী ক’রবে?
সকল আনন্দের উৎস
চাওয়াটা না-পাওয়াই দুঃখ। কিছু চেও না। সব অবস্থায় রাজী থাক, দুঃখ তোমার কী ক’রবে?
সঙ্কোচই দুঃখ, আর প্রসারণই সুখ। যাতে হৃদয়ে দুর্ব্বলতা আসে, ভয় আসে— তাতেই আনন্দের খাঁকতি—আর তাই দুঃখ
“মনে কামক্রোধাদির ভাব না এলে কী ক’রে তারা প্রকাশ পাবে? উপায়—উচ্চতর উদার ভাবে নিমজ্জিত থাকা।”
“প্রত্যেকের মা-ই জগজ্জননী। প্রত্যেক মেয়েই নিজের মায়ের বিভিন্ন রূপ, এমনতর ভাবতে হয়।”
“কামিনী থেকে কাম বাদ দিলেই ইনি মা হ’য়ে পড়েন। বিষ অমৃত হ’য়ে গেল। আর মা মা-ই, কামিনী নয়কো।”
শ্রীশ্রীপিতৃদেব—টাকা-পয়সা, কামিনীতে ইন্দ্রিয় চরিতার্থ তো হয়ে থাকেই। ইন্দ্রিয়াদির দ্বারাই শরীর পরিচালিত হচ্ছে। ইন্দ্রিয়ের রাজা মন।
সবল হৃদয় যাদের, তারাই প্রেম-ভক্তির অধিকারী হ’ন। এর জন্য পরমপিতার কাছে প্রার্থনা করতে হবে
এক একজনের কষ্ট দেখে অনেকে মনে করে, আমার ছেলের এমন যদি হয় তাহলে তো শেষ । এই বলে কেঁদে ছেলেরই অসুখ বাড়িয়ে তোলে।
“দুর্ব্বল মন চিরকালই সন্দিগ্ধ, —তারা কখনই নির্ভর ক’রতে পারে না। বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে— তাই প্রায়ই রুগ্ন, কুটিল, ইন্দ্রিয়পরবশ হয়। তাদের নিকট সারাটা জীবন জ্বালাময়। শেষে অশান্তিতে সুখ-দুঃখ ডুবে যায়, —কি সুখ, কি দুঃখ ব’লতে পারে না; ব’ললে হয়ত বলে ‘বেশ’, তা’ও অশান্তি ; অবসাদে জীবন ক্ষয় হ’য়ে যায়।”
ঐ অম্নান চেষ্টাই তোমাকে মুক্তির দিকে অর্থাৎ সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে।