ভগবানকে জানা …জানা।-ব্যাখ্যা
ভগবানকে জানা মানেই সমস্তটাকে বুঝা বা জানা।
সকল আনন্দের উৎস
ভগবানকে জানা মানেই সমস্তটাকে বুঝা বা জানা।
জগতের সমস্ত ঐশ্বৰ্য্য—জানা, ভালবাসা ও কৰ্ম্ম—যাঁর ভিতর সহজ-উৎসারিত ; আর যাঁর প্রতি আসক্তিতে মানুষের বিচ্ছিন্ন জীবন ও জগতের সমস্ত বিরোধের চরম সমাধান লাভ হয়—তিনিই মানুষের ভগবান্।
যা’ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হ’য়ে যা’-কিছু হ’য়ে তাই আছে— তাই ব্ৰহ্ম।
প্রকৃতি তাদের ধিক্কার করে, যারা নাকি প্রত্যক্ষকে অবজ্ঞা বা অগ্রাহ্য ক’রে পরোক্ষকে আলিঙ্গন করে। আর, পরোক্ষ যার প্রত্যক্ষকে রঞ্জিত ও লাঞ্ছিত করে—তারাই ফাঁকির অধিকারী হয়।
মানুষের আকাঙ্ক্ষিত মঙ্গল তার অভ্যস্ত সংস্কারের অন্তরালে থাকে, আর মঙ্গলদাতা তখনই দণ্ডিত হন—যখনই দেওয়া মঙ্গলটার অভ্যস্ত সংস্কারের সঙ্গে বিরোধ উপস্থিত হয়—আর তাই প্রেরিত-পুরুষ স্বদেশে কুৎসামণ্ডিত হন।
করাটা যখনই চাওয়াকে অনুসরণ করে—তার কৃতার্থতা তখনই সম্মুখে দাঁড়ায়।
পেতে হ’লেই—তা’ যা’ই হোক, শুনতে হবে তা’ কি ক’রে পাওয়া যায়—আর, ঠিক-ঠিক তা’ ক’রতে হবে—না ক’রে পাওয়ার জন্য উদ্গ্রীব হওয়ার চেয়ে বোকামি আর কী আছে?
করার আগে দুঃখ করা না-পাওয়াকেই ডেকে আনে।
যেমন ক’রে যা’পেতে হয়, তা’ না ক’রে সেজন্য দুঃখিত হয়ো না।
যাঁ’তে সৰ্ব্বস্ব বিকিয়ে দিয়েছ—তিনিই তোমার ভগবান্ ; আর, তিনিই তোমার পরম গুরু।